• CAA Act: সিএএ নিয়ে মুসলিমদের আদৌ চিন্তার কারণ রয়েছে? অমিত শাহের জবাব
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
  • দেশজুড়ে কার্যকর হল সিএএ। লোকসভা ভোটের মুখে দেশে কার্যকর হল সিএএ। এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল কেন্দ্র। সিএএ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। গত কয়েক মাসে শাসক দলের একাধিক নেতা দাবি করেছিলেন, খুব শীঘ্রই সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট বা সিএএ কার্যকর হতে চলেছে দেশে। ক'দিন আগে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহও দাবি করেছিলেন লোকসভা ভোটের আগে সারা দেশে কার্যকর হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তাঁর সেই দাবি মিলে গেল। কী ভাবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের সংখ্য়ালঘুরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন? রুল ফ্রেম করল ভারত।এই আইনের উদ্দেশ্য কী?

    এই আইনের উদ্দেশ্য় হল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এই দেশে আশ্রয় চান তাহলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত।

    উল্লেখ্য দেশের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে চ্যালেঞ্জ করে দেশের বিভিন্ন আদালতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ এই আইন ধর্মীয় বিভেদ বাড়াবে। তবে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর অভিযোগ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। ভুল বোঝানো হচ্ছে তাঁদের। মুসলিমদের তাঁর আশ্বাস, তাঁদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।

    কী বলেছিলেন অমিত শাহ?

    সিএএ নিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, সিএএ দেশের একটি আইন। নির্বাচনের আগে এই আইন কার্যকর হবে। এই আইন নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত না।' শাহর কথায়, 'এই আইনে কোনও ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও বিধান নেই।' মোদীর সেনাপতির অভিযোগ, 'দেশে সংখ্য়ালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে। এই আইনে তেমন কোনও বিধান নেই।' শাহের সংযোজন, 'সিএএ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার একটি আইন।'

    সিএএ ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা করে শাহ। বলেন, 'কংগ্রেস সরকারের সিএএ-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যখন দেশ ভাগ হয় সেইসব দেশের সংখ্য়ালঘুরা নির্যাতিত হয়েচিল। কংগ্রেস সেই সময় শরণার্থীদের আশ্বাস দেয় তাঁদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু কংগ্রেস সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আগে প্রধানমন্ত্রী জওহরলালার নেহরুরু একটি সাংবিধানিক অ্যাজেন্ডা ছিল। কিন্তু পরে কংগ্রেস তাদের তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে তা উপেক্ষা করে।' উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হয় সিএএ। ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দেন তাতে। সেই আইন সোমবার থেকে কার্যকর হল।
  • Link to this news (এই সময়)