‘নিঃশর্ত নাগরিকত্ব না হলেই আন্দোলন’, সিএএ চালু হতেই হুঁশিয়ারি মমতা বালার
এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ঘোষণাকে ‘রাজনৈতিক খেলা’ ঘোষণা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ও মতুয়া ঠাকুরবাড়ির সদস্য মমতা বালা ঠাকুর। এই আইন কার্যকরী করার সময় যদি ‘নিঃশর্ত’ নাগরিকত্ব না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি নিজে ধরনায় বসবেন বলে হুঁশিয়ারি মমতা বালা ঠাকুরের।গোটা দেশ জুড়ে সোমবার সন্ধ্যায় সিএএ কার্যকরী করে কেন্দ্রীয় সরকার। বহুদিন ধরে টালবাহানা চলার পর অবশেষে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার ঠিক মুখে এই আইন কার্যকর করার ঘোষণা কেন্দ্রীয় সরকারের। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি থেকে সেই দেশের সংখ্যালঘু নিপীড়িত মানুষদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কারণেই এই আইন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই আইনের বিজ্ঞপ্তির পুরো বিষয়টি না জেনে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাইছে না তৃণমূলও।
বিষয়টি নিয়ে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর বলেন, ‘ আমাদের হাতে বিজ্ঞপ্তি আসুক। যদি দেখি নিঃশর্ত নাগরিকত্বের কথা বলা হয়েছে, তাহলে ভালো কথা। যদি সেটা না থাকে, তাহলে আন্দোলনে নামব।’ তাঁর ব্যাখ্যা, এই আইন মোতাবেক নিঃশর্ত ভাবে বাইরের দেশ থেকে আসা মানুষের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। এখানে যদি কোনও নথি চাওয়া হয়, তাহলে তার বিরোধিতা করা হবে।
নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়
তাঁর কথায়, ২০১৯ আইনটি কী ভাবে এতদিন বাদে লাগু করা হয়। এর জন্য কোনও আবেদন পূরণ করতে হবে, নাকি কোনও ডকুমেন্টস দিতে হবে সেটা দেখা হবে। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর যে নথি আছে, আমাদের কাছেও সেই নাগরিক আছে। তাঁরা যদি এই দেশের নাগরিক হন, তাহলে আমরাও এই দেশের নাগরিক।’
তবে, এর পেছনে বিজেপির ভোটের রাজনীতি রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। মমতা বালা বলেন, ‘' ভোটের আগে এটা চালু করে দিল। এখনও তো মানুষ নাগরিক হননি। ভোট তাহলে কোন অধিকারে নিচ্ছে? নাগরিকত্ব এখন দেওয়া হবে নাকি ভোটের ফলাফলের পরে দেওয়া হবে সেটা কেই জানে না।’ প্রসঙ্গত, এই বিষয়টি নিয়ে ২০১৯ সালেও ভোটের প্রচার করেছিল গেরুয়া শিবির। এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগেও এই আইন চালু করা অবশ্যই হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বনগাঁ কেন্দ্রের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। যদিও, মতুয়াদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছেন বলেই দাবি করেন তিনি।