ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে মানুষের ঢল, খোল-করতাল বাজিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন মতুয়ারা
এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
দেশ জুড়ে চালু হয়ে গেল সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। সোমবার বিকেলে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। CAA চালু হতেই আনন্দ উৎসবে মাতলেন মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সদস্য এবং মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। কাঁসর, ঢোল, করতাল নিয়ে এই ঘোষণার সমর্থনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা।দীর্ঘ টালবাহানা পর অবশেষে, আজ সোমবার দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন চালু করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্থান থেকে সেই দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা উৎপীড়নের জন্য এ দেশে আশ্রয় চাইলে তাঁদের জায়গা দেবে ভারত। এতদিন ধরে কার্যকর করা না হলেও লোকসভা নির্বাচনের মুখে এসে এই ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মতুয়া ঠাকুর বাড়িতে খোল, করতাল বাজিয়ে এই ঘোষণায় আনন্দ প্রকাশ করেন সকলে। চিরাচরিত ‘হরি বোল’ ধ্বনি উঠিয়ে দু হাত তুলে নাচের তালে অংশগ্রহণ করেন সকলে। মতুয়া ঠাকুর বাড়ির সামনে ধীরে ধীরে ভিড় জমাতে থাকেন স্থানীয় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন। এই ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ মেতে ওঠেন সকলে।
নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়
রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া সহ একাধিক জেলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন। এই দুই জেলাতেই সভা করে গিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবার আর সভা থেকে সিএএ নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলতে শোনা যায়নি তাঁকে। তবে বেশ কিছুদিন আগেই সিএএ যে লোকসভা নির্বাচনেr আগেই কার্যকরী করা হবে সে ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। কয়েকমাস আগেই, সিএএ চালু করার ব্যাপারে আশার বাণী শুনিয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। ভোটের একদিন আগে হলেও সিএএ কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেইমতো এদিন সিএএ কার্যকর করানোর পরেই দেখা গেল মতুয়াদের উচ্ছ্বাস।
যদিও এই ঘোষণাকে ‘ভোটের খেলা’ বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ এবং মতুয়া বাড়ির সদস্য মমতা বালা ঠাকুর। তাঁর কথায়, ভারতীয় নাগরিক হতে গেলে যে নথি প্রয়োজন সেটা সবই আছে। তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যা নথি আছে, আমাদের সেই নথি। উনি যদি নাগরিক হন, তাহলে আমরা সকলেই ভারতের নাগরিক।’