Santragachi Terminus: জল জমার আশঙ্কা সাঁতরাগাছিতে, তাই এখন নয় বাস স্ট্যান্ড
এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
এই সময়: ধর্মতলা থেকে সাঁতরাগাছিতে দূরপাল্লার বাসের টার্মিনাস সরানো হবে বলে জানিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। কিন্তু তা নিয়ে নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বর্ষায় সেখানে জল জমার আশঙ্কা। ফলে সেখানে এখনই বাস টার্মিনাস সরানো যাচ্ছে না বলে হাইকোর্টে নতুন করে হলফনামায় জানিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। তবে বিকল্প হিসেবে বিদ্যাসাগর সেতু সংলগ্ন একটি জায়গা এবং হাওড়ার ফোরশোর রোড ও সংলগ্ন ডিউক রোডে বাস টার্মিনাস করার মতো জায়গা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সল্টলেকের করুণাময়ীতে মাল্টি লেভেল বাসস্ট্যান্ড করার পরিকল্পনাও জানিয়েছে রাজ্য।
হলফনামায় রাজ্যের বক্তব্য, সাঁতরাগাছিতে ১০০টি দূরপাল্লার বাস যাতে এখনই রাখা যায়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস-মালিকদের সঙ্গে সরকারি আধিকারিকদের যৌথ পরিদর্শনে দেখা যায়, সেখানে বর্ষায় জল জমে বিপত্তি হতে পারে। সেখানকার পরিকাঠামো আরও উন্নত করার চেষ্টা চলছে। এই অবস্থায় হলফনামায় কয়েকটি বিকল্প জায়গার কথা জানিয়েছে পরিবহণ দপ্তর।সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়ার ফোরশোর রোডের পাশাপাশি সেখানকার ডিউক রোডে সাড়ে পাঁচ একর জায়গা। সেখানে ৩০০ বাস দাঁড়াতে পারে। কিন্তু দু’টি জায়গাতেই কোনও পরিকাঠামো নেই। পরিকাঠামো তৈরি হলে তবেই ওই দুই জায়গায় ধর্মতলা থেকে দূরপাল্লার বাস সরানো সম্ভব। ফোরশোর রোডে ভূতল পরিবহণ নিগমের টার্মিনাসের কথাও বাস-মালিকদের জানানো হয়েছিল। তবে দূরত্বের কারণে কোনওটিতেই বাস-মালিকরা খুশি নন। তবে এই দু’টি জায়গায় পাকাপাকি টার্মিনাস হলে তাঁরা বাস সরিয়ে নেবেন বলেই আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
করুণাময়ীতেও মাল্টি লেভেল বাস টার্মিনাস তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে রাজ্য। বিদ্যাসাগর সেতু সংলগ্ন বাস্তার পাশেও বড় ফাঁকা জায়গা রয়েছে। জরুরি অবস্থায় সেখানে বাস রাখা হয়। কিন্তু পরিকাঠামো নেই। ফলে যেখানেই হোক বাস টার্মিনাস সরাতে কিছুটা সময় লাগবে। বাস-মালিক সংগঠনের কর্তাদের সবক’টি জায়গা দেখানো হবে।
তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে বক্তব্য পরিবহণ দপ্তরের। কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় বাস টার্মিনাসের কারণে দূষণের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। বহু আগেই হাইকোর্ট এই টার্মিনাস সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফের তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুভাষ।