• কর্কট রোগের চিকিৎসায় রাজ্যে নতুন দিগন্ত, আজই রিজিওনাল ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
  • ক্যনসারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে রাজ্য়ে খুলে যাচ্ছে নতুন এক দরজা। মঙ্গলবারই উদ্বোধন হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টার (RCC)। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ হাবড়ার সভা থেকে এটির ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেডিক্যালের মেইন বিল্ডিং ও অধ্যক্ষ অফিসের মাঝামাঝি জায়গায় তৈরি হয়েছে সাততলা এই ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্রটি। সূত্রের খবর, ১০৯ বেডের ওই ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পরেই চালু করে দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ক্যানসার বিভাগ, আউটডোর ও ইনডোর চলছিল আগে থেকেই। বিভাগীয় চিকিৎসক ও কর্মীরা কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সাততলা ওই ভবনটির উদ্বোধন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিল্ডিংয়ের কোথায় কী?'জি প্লাস সিক্স' ওই ভবনটি বেসমেন্টেও দু'টি ফ্লোর থাকছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই দু'টি ফ্লোরের একটিতে বসবে সিটি সিম্যুলেটর, ব্র্যাকিথেরাপি ও লিনিয়র অ্যাক্সিলারেটরের (লাইন্যাক) মতো অত্যাধুনিক যন্ত্র। অপর ফ্লোরে ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার প্যানিং করা হবে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকছে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগ। দোতলায় থাকবে অঙ্কোপ্যাথোলজি বিভাগ, তিনতলায় রেডিওথেরাপি ওয়ার্ড। ৩৪ শয্যা বিশিষ্ট ওই ওয়ার্ডে এইচডিইউ-এর ব্যবস্থাও থাকছে। চতুর্থ তলে থাকছে মেডিক্যাল অঙ্কোলজি ওয়ার্ড। ৩৯ শয্যার ওয়ার্ডে এইচডিইউ ছাড়াও থাকছে তিনটি কেবিন। এর ওপরের ফ্লোর অর্থাৎ পাঁচতলায় সার্জিক্যাল ও মেডিক্যাল অঙ্কোলজি ওয়ার্ডে থাকছে ৩০টি বেড। তার মধ্যে ২টি থাকছে এইচডিইউ। ছ'তলায় থাকছে ক্যান্সার রোগীদের অস্ত্রোপচারের জন্য সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি ওটি এবং প্রি ও পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড। সেখানে রয়েছে ২টি ওটি এবং চারটি বেড। আর সবচেয়ে ওপরে অর্থাৎ সাততলায় থাকছে দু'টি বিভাগ। নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং মেডিক্যাল অঙ্কোলজি। এছাড়া ব্র্যাকিথেরাপি ওটি এবং অঙ্কোপ্যাথোলজি ল্যাবরেটরিও থাকছে সাততলাতেই।

    রোগীদের সুরাহাউল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় চালু হয়েছে ক্যানসার চিকিৎসার আউটডোর। এমনকী জেলা হাসপাতালে বসে কেমোথেরাপিও করাতে পারবেন রোগীরা। এই প্রসঙ্গে, হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রিজিওনাল ক্যানসার সেন্টারে সমস্ত ধরনের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকছে। এর ফলে বেসরকারি ক্ষেত্রে ক্যানসারের চিকিৎসার চেয়ে অনেকটা কম খরচে পরিষেবা পাবেন রোগীরা।

    প্রসঙ্গত, ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য অনেক সময়ই বাইরে যেতে হয় রোগীদের। অনেকেরই সেই লোকবল ও অর্থবল থাকে না। সেক্ষেত্রে এবার এই ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্রেটি চালু হয়ে গেলে অনেকটাই সুরাহ হবে ওই সমস্ত রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের।
  • Link to this news (এই সময়)