Auto Service : সল্টলেকে নির্দিষ্ট রুট মানছে না কোন অটো, জানাবে রিপোর্ট
এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
এই সময়: অটো চলার কথা করুণাময়ী-সেক্টর ফাইভ রুটে, পারমিট সে রকমই। তবে, সেই অটো চলছে কখনও করুণাময়ী-উল্টোডাঙা, আবার কখনও পরিবেশ ভবন-করুণাময়ী রুটে। আবার পারমিট, রেজিস্ট্রেশন নেই, এমনও অটোর সংখ্যাও সল্টলেকে প্রচুর।সম্প্রতি, পরিবহণ ভবনে সল্টলেক জুড়ে বৈধ-অবৈধ কত অটো চলছে, তার তালিকা জমা দিয়েছে বারাসতের আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখানো চালকদের জন্যই হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। দিতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।’
সেই যেমন খুশি চলার এই রীতি বন্ধ করতেই এই তালিকা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে কোনও চালক নিয়ম না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এবং নিয়মমাফিক অটো চালানোর জন্য দপ্তর কী কী পরিকল্পনা করেছে, খুব তাড়াতাড়ি তা পরিবহণ দপ্তরের অটো পলিসিতে তুলে ধরবেন—এমনটাই জানিয়েছেন ওই কর্তা।
হঠাৎ করেই কেন এই তালিকা তৈরি হলো?
পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, সল্টলেক-উল্টোডাঙা রুটে গত কয়েকমাস ধরে হামেশাই অটো চালকদের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ছিল। এর প্রধান কারণ, ওই এলাকায় একই রুটে বিভিন্ন রকমের অটো চলে। সল্টলেকে কর্মসূত্রে ২ লক্ষের বেশি মানুষ আসেন, তাঁদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম অটো।
তার সুযোগ নিয়ে অন্য রুটের অটোও অফিস টাইমে সল্টলেকে চলে আসে। ভাড়াও ঠিক থাকে না। এই ঘটনা যে ঘটে, তা মেনে নিচ্ছেন তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট রুটে সেই রুটের অটো না চললে সমস্যা মিটবে না। কেন না, অন্যান্য রুটের অটো মূলত ভাড়ার লোভেই সল্টলেকে চলে আসে।’
সেই সমস্যা মেটাতেই সল্টলেক পুলিশের সহযোগিতায় গত ১৫ দিন ধরে রুট ধরে-ধরে অটোর তালিকা তৈরি করেছে বারাসত আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর। সূত্রের খবর, ওই তালিকা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, সল্টলেকের প্রায় প্রতিটি রুটেই অবৈধ অটো ছুটছে। রুটপিছু এই সংখ্যা ২৫-৩৭ শতাংশ। রিপোর্ট জমা করার পাশাপাশি বেশ কিছু প্রস্তাবও পরিবহণ দপ্তরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে মিউজ়িক সিস্টেম বাজলে ও যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট চালকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আইন তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, আইন তৈরি করলেই কি তা বাস্তবায়িত হবে? কেননা, নিয়ম মেনে অটো চলছে কি না, তার বৈধ পারমিট আছ কি না, তার নজরদারির অভাব রয়েছে। কে চালাবে নজরদারি?
প্রশ্নের উত্তরে পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার দাবি, ‘আমরা এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা চাইব। ওদের উপরেই রুটের গাড়ি রুটে চলছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হবে।’