• এডিটেড, না এআই-মেড! রয়্যাল-ছবি ঘিরে শোরগোল
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: রয়্যাল ফ্যামিলির ছবিতেও কারিকুরি? ১০ মার্চ ব্রিটেনের মাতৃদিবসে তিন সন্তানের সঙ্গে ব্রিটেনের প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটনের একটি ছবি প্রকাশ করেছিল কেনসিংটন প্যালেস। সেই ছবি আদৌ আসল, নাকি এআই-এর 'কুকীর্তি', তা নিয়ে সোমবার দিনভর চলতে থাকে বিতর্ক।মাঝে 'ম্যানিপুলেটেড ছবির' তকমা দিয়ে এপি, এএফপি, গেটি ইমেজেস, রয়টার্সের মতো নামজাজা সংবাদ সংস্থা সেই ছবি মুছেও ফেলে। শেষমেশ কেট নিজমুখে ক্ষমা চাওয়াতে মিটল বিতর্ক। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিন্সেস অফ ওয়েলস কেট জানালেন, ছবিটি এডিট করা। এবং সেই ছবি 'অপটু' হাতে এডিট করেছিলেন তিনি নিজেই!

    মাস দেড়েক আগে পেটে অস্ত্রোপচার করিয়ে বাড়ি ফিরেছেন কেট। আপাতত বিশ্রামে তিনি। সেই অর্থে ১০ মার্চের ছবিটিই তাঁর পোস্ট-অপারেশন পর্বের প্রথম ছবি। তিন সন্তান জর্জ, শার্লট এবং লুইসকে নিয়ে রীতিমতো হাসিমুখেই ছবি তুলিয়েছিলেন কেট। ক্যামেরাম্যান ছিলেন খোদ প্রিন্স উইলিয়াম।

    মাকে 'মাদার্স ডে'-র শুভেচ্ছা জানাচ্ছে ছেলেমেয়েরা। বড় মিষ্টি সেই ছবি। হাসিমুখে মাকে আগলে রাখার ছবি। কেট যে অপারেশনের ধকল কাটিয়ে উঠছেন, তা-ও বোঝা যাচ্ছিল ছবি দেখে। স্বাভাবিক ভাবেই স্বস্তি পেয়েছিলেন রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠরা। বেলা গড়াতেই অবশ্য জুড়ল বিতর্ক।

    কীসে বিতর্ক? আপাত দৃষ্টিতে ছবিতে কোনও গোলমালই নেই। কিন্তু সূত্রের খবর, সংবাদ সংস্থাগুলি খুঁটিয়ে দেখে ছবিতে গোটা তিনেক ত্রুটি পেয়েছে। প্রথমত কেটের আঙুলে 'ওয়েডিং রিং' নেই, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। দ্বিতীয়ত, কেটের কন্যাসন্তান শার্লটের বাঁ হাতে কিছুটা অসামঞ্জস্য রয়েছে।

    সোয়েটারের হাতার একটা অংশে তার চেক স্কার্টের কিছুটা ইমপ্রেশন ধরা পড়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ছবিটা এআই-মেড না হলেও নিশ্চিত ভাবেই ফোটোশপে এডিট করা। প্রমাণিত হয়ে যায়, কেনসিংটন প্যালেসের দেওয়া হ্যান্ডআউট আদতে 'অল্টার্ড'।

    কিন্তু কেটের আংটি কোথায়? সূত্রের খবর, ইদানীং হাতে কোনও আংটিই পরছেন না প্রিন্সেস। তবে শার্লটের ছবিতে ফোটোশপ করার দায় কার, তা দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত জানা যায়নি। মুখে কুলুপ আঁটে র‍য়্যাল ফ্যামিলিও। জল্পনা রটতে থাকে, অনলাইনে প্রকাশ করার আগে সাধারণত কোনও ছবি কেনসিংটন প্যালেসের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের কাছে যায়।

    সেখানেই কেউ হয়ত ছবি 'নিখুঁত' করতে গিয়ে ঝামেলাটা পাকিয়েছেন। শেষমেশ মুখ খোলেন খোদ প্রিন্সেস অফ ওয়েলস কেট। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ক্ষমা চেয়ে তিনি পোস্ট করেন, 'অনেক অ্যামেচার ফটোগ্রাফারদের মতো আমিও মাঝে মাঝে ছবির এডিটিং করি। আসলে এক্সপেরিমেন্ট করি। সেটা করতে গিয়ে আমাদের ফ্যামিলি ফোটোগ্রাফ যদি কারও মনে কনফিউশন তৈরি করে, সে জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করি সবার মাদার্স ডে খুব ভালো কেটেছে।'

    প্যালেস হ্যান্ডআউট ফোটো দেওয়া মাত্রই তা প্রকাশ করে দিয়েছিল বিবিসি অলনাইন। পরে সেই ছবিটি তুলে নিয়ে তারা বলে, 'খুঁটিয়ে দেখে এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে ছবিটা এডিটেড। এ ধরনের ছবি আমরা প্রকাশ করি না।' ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় বার্তা সংস্থা পিএ যদিও সোমবার রাত পর্যন্ত ছবিটি সরায়নি তাদের ডেটাবেস থেকে।
  • Link to this news (এই সময়)