লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশে কার্যকর হল সিএএ। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সংশোধধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলিমল শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই আনা হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ।
নাগরিকত্ব বিল কার্যকরের ঘোষণা করতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এআইএমআইএম) সভাপতি আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। ওয়াইসির দাবি, এই আইনটি গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ওয়াইসি জোর দিয়ে বলেন, 'সিএএ আইন মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে তুলবে।' এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি হুঁশিয়ারি কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ আবার বহু লোককে প্রতিবাদ করে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবে।
হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, 'সিএএ নিয়ে আমাদের বরাবরের আপত্তি। সিএএ জাতিগত বিভাজন বাড়াবে। গডসের আদর্শের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই আইন, মুসলমানদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করতে চেয়েছিলেন। যে নির্যাতিত তাঁকে অবশ্যই আশ্রয় দেওয়া উচিত। কিন্তু নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত না। ধর্ম বা জাতীয়তার ভিত্তিতে হওয়া উচিত নয়।'
দেখুন ওয়াইসির টুইট
এক্স হ্যান্ডেল ওয়াইসি কেন্দ্রকে আক্রমণ করে লেখেন, 'সরকারের ব্যাখ্যা করা উচিত কেন এই নিয়মগুলি পাঁচ বছর ধরে ঝুলে ছিল। কেন এখন সেগুলি প্রয়োগ করা হচ্ছে। । এনপিআর-এনআরসি সহ সিএএ-এর মাধ্যমে শুধুমাত্র মুসলমানদের টার্গেট করা হবে। এর অন্য কোনও উদ্দেশ্য নেই। CAA NPR NRC-এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসা ভারতীয়দের আবার প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।'
সিএএ থেকে কারা নাগরিকত্ব পাবে?
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ),২০১৯ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিধিগুলি মঙ্গলবার থেকেই আবেদন করা যাবে। সোমবারই এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিএএ কার্যকর হওয়ার কথা জানায় কেন্দ্র। এই আইন পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে নথি ছাড়াই আগত অমুসলিম অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ প্রশস্ত করেছে। CAA বিধি জারি হওয়ার পরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত ভারতে আসা নির্যাতিত অ-মুসলিম অভিবাসীদের (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান) ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করবে। ভিসা বা পাসপোর্টের মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু অবিজেপি নেতা-নেত্রীরা এই আইনের প্রতিবাদ জানান।