তারকা চমকের বদলে 'ভূমিপুত্র'-এ আস্থা! কোন অঙ্কে বাঁকুড়ার প্রার্থী অরূপ?
এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
বাঁকুড়ায় টিকিট না পেয়ে কোনও রাখঢাক না করেই অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, তাঁর অভিমান হয়েছে। তবে দল ছাড়ছেন না তিনি। এদিকে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, সায়ন্তিকার বদলে বাঁকুড়া দখলের লড়াইয়ে কার উপর আস্থা রাখল তৃণমূল?রবিবার ব্রিগেড ময়দান থেকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য রাজ্যের ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আর এই প্রার্থী তালিকায় ছিল একাধিক চমক। 'বহিরাগত' নয়, বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে 'ভূমিপুত্রে'ই আস্থা রেখেছে শাসক দল। সেখানে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন দলের জেলা সভাপতি তথা তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী।
পেশায় আইনজীবী অরুপ চক্রবর্তী তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন তিনি। জয়ী হয়ে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে সভাধিপতির পদটি 'সংরক্ষিত' হওয়ায় দল তাঁকে জেলা পরিষদের 'মেন্টর' পদ তৈরি করে সেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তালডাংরা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করে বিধায়ক নির্বাচিত হন অরূপ চক্রবর্তী। আরও পরে ২০২৩ সালে তিনি দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এবার লোকসভার অলিন্দে পা রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে 'পোড় খাওয়া' রাজনীতিবিদ অরুপ চক্রবর্তীর কাছে।
জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, এলাকায় অরূপের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। পাশাপাশি এলাকার মানুষের কাছে বিশেষ পরিচিত একটি নাম। রাজনীতিক অরূপকে প্রার্থী হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, দলের তরফে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরই অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আশীর্বাদ নিয়েছি। তিনি মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেছেন।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া 'সম্মান' ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি লোকসভায় 'বাঁকুড়ার উন্নয়নে'র জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাঁকুড়ার প্রার্থী হিসেবে অরূপ চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলত্যাগের জল্পনা জোরাল হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিঠি ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয় তিনি পদত্যাগ করেছেন। যদিও সেই জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। ওই চিঠি ভুয়ো এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে দল আগে থেকে জানিয়ে দিলে ভালো হত, এই মন্তব্যও করতে শোনা গিয়েছে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে তিনি তৃণমূলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন বলেও জানান।