• ভার্চুয়াল দেওয়াল ভরেছে রচনা-লকেটের মিমে
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
  • প্রদীপ চক্রবর্তী, চুঁচুড়াশাসক ও বিরোধী দলের দুই তারকা প্রার্থীর লড়াইকে ঘিরে লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই উত্তাপ ছড়িয়েছে গঙ্গার পশ্চিম তীরের জনপদ হুগলিতে। রাজনীতির ময়দান ছাপিয়ে দিদি নাম্বার ওয়ান তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি সাংসদ অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের লড়াই জমে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।

    ভোটের ময়দানে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও, অতীতে নানা সময় একই ছবিতে অভিনয় করেছেন রচনা ও লকেট। ভোটের মরসুমে একই ফ্রেমবন্দি দুই অভিনেত্রীর বাংলা ছবির ক্লিপিং দিয়ে মিমের বন্যা বইছে ফেসবুকে। ব্রিগেড থেকে রচনার নাম তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই নেটিজনদের হাত ধরে পুরোনো ছবির সংলাপ ও মিমে জমে উঠেছে দুই তারকা প্রার্থীর লড়াই।

    তৃণমূলের নেতা কর্মীরা সম্প্রতি একটি বাংলা টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রচনার একটি রিয়ালিটি শোয়ের ক্লিপিংস ভাইরাল করে ভোটের আগেই লড়াইয়ের পারদ চড়িয়ে দিয়েছেন। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না দুই প্রার্থী। লড়াইয়ের ময়দানে সৌজন্য রাখার পক্ষপাতী দু’জনেই।

    চলতি মাসের ১৬ তারিখ শনিবার সিঙ্গুর থেকে প্রচার শুরু করবেন রচনা। সে প্রসঙ্গে রচনা বলেন, ‘আমি রাজনীতির ক্ষেত্রে সব জানি, এমনটা জাহির করার চেষ্টা করব না। আজকে সন্দেশখালি একটা ইস্যু। এটাই শেষ নয়। আরও অনেক ইস্যু নিয়েই বিরোধীরা আগামী দিনে প্রশ্ন ছুড়ে দেবেন। সেটাই রাজনীতির লড়াই। তবে আমি ডিসেন্ট লড়াইয়ে বিশ্বাস করি। নোংরামি করা, গালাগাল দেওয়া, অসভ্যতা করা আমার স্বভাবে নেই।’

    লকেটের সঙ্গে তাঁর লড়াই নিয়ে দিদি নাম্বার ওয়ান বলেন, ‘ওর সঙ্গে কাজ করার অনেক স্মৃতি আছে। রাজনীতি সরিয়ে রেখে, দু’জনে একটা ঘরে বসে গল্প করলে মনে হয়, পুরোনো সব কথা নিয়ে অনেক হাসাহাসি হবে। কিন্তু রাজনীতিতে ওঁর সঙ্গে লড়তেও সমস্যা নেই।’

    পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, ‘লকেট রাজনীতির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতায় আমার চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু আমি কী পারব বা পারব না, সেটা জানি।’ এ দিন লকেটও বলেন, ‘আমি ও রচনা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি ইন্ডোর ও আউটডোরে। ব্যক্তিগত কোনও লড়াই নেই। আমি মোদীর সৈনিক।’

    তাঁদের নিয়ে তৈরি হওয়া মিম প্রসঙ্গে লকেট বলেন, ‘টান টান সিরিয়াস লড়াইয়ের মধ্যে মিমের মতো মনোরঞ্জন থাকলে মন্দ কী? সবাই একটু আনন্দ উপভোগ করুক। জীবনে মিমের প্রয়োজন।’ ফেসবুকে লকেট-রচনার মিম শেয়ার করেছেন চণ্ডীতলা বেগমপুরের তৃণমূলের যুবনেতা কৌশিক শীল।

    তিনি বলেন, ‘বেগমপুরে লকেট এসে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন। কিন্তু পাঁচ বছরে তাঁর দেখা পাইনি। তাই দিদি নাম্বার ওয়ান হয়েই হুগলি থেকে নির্বাচিত হবেন রচনা।’ হুগলি কেন্দ্রের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মিম সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো লাগে। কিন্তু রাজনীতির ময়দান সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জবাব দেব।’

    তবে রাজনৈতিক কর্মী সমর্থকেরা দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মিম শেয়ার ও কমেন্ট করলেও সাধারণ ভোটারেরা কিন্তু মিম নিয়ে মজা পেয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হুগলি কেন্দ্রের কলেজ ছাত্রী বলেন, ‘যারা মিম তৈরি করেন তাদের বুদ্ধি ও চিন্তাভাবনাকে সম্মান করি। ভোটে কী হবে জানি না। কিন্তু মিম দেখে খুব মজা লাগছে।’
  • Link to this news (এই সময়)