এই সময়, কামারহাটি: দক্ষিণেশ্বরের কাছে অম্রুত প্রকল্পের অধীন কামারহাটি-বরাহনগর যৌথ জল প্রকল্পের পানীয় জল সরবরাহ ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠান ছিল সোমবার। নতুন এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৩৫ সালে কামারহাটি এবং বরাহনগরের জন্য যে জল প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল তার আপগ্রেডেশন হচ্ছে।ব্রিটিশ আমলের এই প্রকল্প থেকে প্রতিদিন যেখানে গড়ে সাড়ে তিন মিলিয়ন লিটার জল পাওয়া যায় সেখানে নতুন এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রতিদিন গড়ে ১৫ মিলিয়ন লিটার জল পাবেন দুই পুরসভার বাসিন্দারা। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে পাইপ লাইন সংস্কারের কাজও। আগামী দু’বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের জন্য দক্ষিণেশ্বরে গঙ্গার ধারে একটি ইনটেক জেটি তৈরি করা হবে। যেখান থেকে গঙ্গার জল তুলে পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্লান্টে নিয়ে এসে সেই জল পরিশোধন করে আমার পাইপ লাইনের মাধ্যমেই কামারহাটি এবং বরাহনগর অঞ্চলের মানুষের বাড়ি বাড়ি তা সরবরাহ করা হবে। এর ফলে জল কষ্টের হাত থেকে অনেকটা রেহাই মিলবে দুই পুর এলাকার বাসিন্দাদের।
প্রায় ৫৬ কোটি টাকা বাজেটের এই প্রকল্পের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, কামারহাটির পুরপ্রধান গোপাল সাহা, উপ পুরপ্রধান তুষার চট্টোপাধ্যায়, বরাহনগর পুরসভার উপ পুরপ্রধান দিলীপনারায়ণ বসু, সিআইসি অঞ্জন পাল-সহ অন্যান্যরা।
এ দিনের এই প্রকল্পের শিলান্যাসের পরে তৃণমূলের বহিরাগত প্রার্থী প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌগত রায় বলেন, ‘কোথাও বলা ছিল না যে বাইরের কাউকে প্রার্থী করা হবে না। তা ছাড়া বামেরা ১৯৬৯ সালে কৃষ্ণ মেননকে কেরল থেকে এনে বাংলায় দাঁড় করিয়েছিল। এটা নতুন কিছু নয়।’
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মনোনয়ন পাবেন কিনা, পেলে আদৌ জিতবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন দমদমের বর্তমান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে দমদম কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে আরও একবার নাম ঘোষণা হতেই সোমবার কামারহাটির জল প্রকল্পের উদ্বোধনে এসে সৌগত রায় বললেন, ‘মনোনয়ন পেয়েছি। জয়ও নিশ্চিত।’