এই সময়, তমলুক: হাওয়ায় ভাসছে তাঁর নাম। তাতে কী? ‘ছায়াযুদ্ধ’ শুরু হয়েছে তমলুকে। বিজেপির প্রার্থী কে হবেন, চূড়ান্ত না হলেও সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন তমলুক লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থী হলে একরমক প্ল্যান, না হলে প্ল্যান-বি ভাবতে শুরু করেছেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের ইনচার্জ।রবিবার ব্রিগেডের সভায় তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তমলুকে এসে প্রচার শুরু করেছেন দেবাংশু। সোমবার প্রচারের প্রথম দিনে তমলুকে এসে সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন বিচারপতিকে ‘ওজনদার’ নয় বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘রাজনৈতিক ওজনের কথা যদি ধরা হয় তাহলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কোনও হেভিওয়েট প্রার্থী নয়। তাঁর কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই।’ কেন?
দেবাংশু বলেন, ‘রাজনীতিতে যোগ দেওয়া তো একমাসও হয়নি। আদালতে বসে বিচার ব্যবস্থার অংশ নেওয়া, আর এলাকায় এসে মানুষের জল, কল, রাস্তার সমস্যার সমাধান করা, দু’টো কাজ সম্পূর্ণ আলাদা। আমার তো কমপক্ষে ৫ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে।’
আপনি কি তমলুক, নন্দীগ্রামে চেনেন? নিজেকে এলাকার মানুষ হিসেবে দাবি করে তিনি জানিয়েছেন, গত বিধানসভার নির্বাচনের সময় থেকে তিনি অনেকবার তমলুক ও নন্দীগ্রামে এসেছেন। এই মাটি তাঁর অচেনা নয়। সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী সম্পর্কে তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, ‘মুড চেঞ্জ হলো রাজনীতিতে যোগ দিলেন। আবার মুড চেঞ্চ হলে বলবেন, আমি আর রাজনীতি করব না। আমার মনে হয়, এলাকার মানুষ এতটা রিস্ক নেবেন না। ’
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারী। আর এ বার? দেবাংশু বলেন, ‘তমলুক এলাকা বিশাল। হলদিয়া থেকে ময়না পর্যন্ত। একজন ত্রিশের নীচের মানুষ যতটা দৌড়তে পারবেন, একজন ৬০ বছরের মানুষ নিশ্চয় ততটা দৌড়তে পারবেন না। দেখবেন, নন্দীগ্রামেও আমাদের লিড হবে। পঞ্চায়েত ভোটের নিরিখে আমরা ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছি।’
দেবাংশুর দাবি প্রসঙ্গে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল বলেন, ‘তৃণমূল প্রার্থী কী বলেছেন জানি না। প্রার্থী ঘোষণার আগেই ভুল বকতে শুরু করেছেন। বিজেপির ছায়া দেখে ভয় পাচ্ছেন। এখনই এত লাফালাফি করলে গা-হাত ব্যথা করবে।’ তাঁর পরামর্শ, ‘ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ না করাই ভালো।’