Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে লড়তে প্রার্থী সর্বাধিক কত খরচ করতে পারেন? জানুুন
এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন এগিয়ে আসলেই বাড়ে খরচের বহর। জানেন কি লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য সর্বাধিক কত টাকা ব্যয় করতে পারেন কোনও প্রার্থী?নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা ৯৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে । এর আগে, একজন প্রার্থীকে ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ভারতের নির্বাচন কমিশনের মতে, ব্যয়ের মূল্যস্ফীতি সূচক এবং ভোটারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নির্বাচনী ব্যয় সংশোধনের বিষয়টি সংশোধন করা হয়েছে।
নিজেদের ভোটপ্রচারে প্রায়শই বহু প্রার্থীকে জলের মতো টাকা খরচ করতে দেখা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে কড়া নজর রাখে নির্বাচন কমিশনও। জানেন কি, কোন প্রার্থী ভোটপ্রচারে ঠিক কত টাকা খরচ করতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী ব্যয়ের সীমার সর্বশেষ বড় সংশোধনটি করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০২০ সালে আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো খরচের সীমা। বড় রাজ্যগুলির জন্য লোকসভা নির্বাচনের জন্য সর্বশেষ ব্যয় সংশোধন ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ছোট রাজ্যগুলির জন্য সংশোধিত ব্যয়ের সীমা ৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীরা বড় রাজ্যে ৯৫ লাখ টাকা এবং ছোট রাজ্যে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন হোক বা বিধানসভা নির্বাচন, প্রত্যেক প্রার্থীকে নিরাপত্তা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা দিতে হয়। এই পরিমাণকে 'সিকিওরিটি ডিপোজিট' বলা হয়। লোকসভা নির্বাচনের জন্য, সাধারণ বিভাগের প্রার্থীদের ২৫,০০০ টাকা জামানত জমা দিতে হয়। SC-ST প্রার্থীদের দিতে হয় ১২,৫০০ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের এবং নির্দল প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এবার একটি নয়া নিয়ম লাগু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার হল এবার থেকে ভোট প্রচারে নেমে সেই কাজ কোনও টোটো বা ই-রিকশ ব্যবহার করলে নির্বাচন কমিশনের কাছে তার হিসাব দাখিল করতে হবে। এতদিন প্রচারের কাজে বাস, ট্রাক বা ট্যাক্সি ব্যবহারের ক্ষেত্রেই এই ধরনের হিসাব পেশ করতে হত নির্বাচন কমিশনের কাছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল টোটো ও ই-রিকশ। এবারের ভোটে এই প্রথম টোটো ও ই-রিকশ ঢুকে পড়েছে নির্বাচনী প্রচারের বাহিন হিসেবে। বিভিন্ন রাজ্যের গ্রাম ও শহরগুলিতে নির্বাচনী প্রচারে টোটো ও ই-রিকশের বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।