• Arunachal Pradesh China News: অরুণাচল প্রদেশে মোদীর সফরে 'ফোঁস' চিনের, পাত্তা না দিয়ে ড্রাগনের দেশের যুক্তিকে 'ফু' ভারতের
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
  • সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি ৮২৫ কোটি টাকার সেলা টানেল উদ্বোধন করেন। এই টানেলের মাধ্যমে যেমন একদিকে চিনের সীমান্তলর্তী অরুণচলে ভারতের সেনা জওয়ানদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। অন্য়দিকে অস্ত্র সরবরাহের ক্ষেত্রেই সুবিধা দেবে এই টানে। মোদীর অরুণাচল সফর নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে চিন। কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানানো হয় চিনের তরফে। তবে চিনের অসন্তোষকে অযৌক্তিক আখ্যা দিল ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, মোদীর অরুণাচল সফর নিয়ে চিনের ক্ষোভের ফুঁসে ওঠার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণই নেই। চিনের যুক্তি নস্যাৎ করে ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছে, 'অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে ও থাকবে।'

    বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র, রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী অরুণাচল সফরে চিনের অসন্তোষ প্রকাশের কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। অন্যান্যা রাজ্যে সফরের যাওয়ার মতো অরুণাচল প্রদেশও বিভিন্ন সময়ে সফরে যান ভারতের নেতার। এই ধরনের সফর বা ভারতের উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে আপত্তি করা যায় না। চিনের দাবি বাস্তব বদলাবে না। অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে।'

    দেখুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টুইট

    মোদীর অরুণাচল সফর নিয়ে চিনের ক্ষোভের কারণ কী?

    ভারতের অরুণাচল প্রদেশ দক্ষিণ তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে আসছে চিন। ফলে অরুণাচল প্রদেশে যে কোনও ভারতীয় নেতার সফর হলেই ক্রমাগত প্রতিবাদ দেখানো থেকে শুরু করে নিশানা করে করে আসছে বেজিং। বারবার সুর চড়িয়ে অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করছে চিন।

    নিজেদের মতো করে অরুণাচল প্রদেশের নামও করেছেন চিন। চিনের তরফে অরুণাচল প্রদেশের নাম দেওয়া হয়েছে জাংনানা। তবে চিনের সমস্ত কৌশল, সওয়ালকে বারংবার নস্যাৎ করেছে কেন্দ্র। অরুণাচল প্রদেশের এই নামকরণ নিয়ে ভারতের তরফে বলা হয়েছে, বাস্তব অবস্থার কোনও পরিবর্তন হবে না এতে। মূলত অরুণাচল ইস্যুতে চিনের এই প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দিল্লি।

    শনিবার অরুণাচল প্রদেশ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেকানে তিনি ১৩ হাজার ফুট উপরে চিনের সীমান্তের কাছে উদ্বোদন করেন সেলা টানেলের। এই টানেলের মাধ্যমে তাওয়াংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ সব মরশুমেই আরও মসৃণ হবে। এই টানেলটি বেশি উপযোগী হতে চলেছে সেনার ট্রুপোর যাতায়াত ও অস্ত্র সরবাহের ক্ষেত্রে। ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় এই বাইলেন রোড টানেল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড়। অসম থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত এই রাস্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ দেশের কৌশলগত দিকের ক্ষেত্রেও।

    ২০২৩ সালে মানচিত্র প্রকাশ করে ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছিল চিন। সেবার 'স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ'-এর ২০২৩ এর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করে চিন। সেখানেই অরুণাচল প্রদেশ ও আকসাই চিনের বিতর্কিত ভূ-ভাগগুলিকে চিন নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। একই সঙ্গে তাইওয়ান ও দক্ষিণ চিন সাগরকেও চিন নিজের ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করে। স্বাভাবিক ভাবেই চিনের ম্যাপ প্রকাশ্যে আসার পরই ভারত তীব্র বিরোধিতা করে।
  • Link to this news (এই সময়)