CAA Law: 'CAA বৈষম্যমূলক', আইন কার্যকর হওয়ার একদিনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুসলিম পক্ষ, কী দাবি?
এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
সোমবারই সারা দেশে সিএএ কার্যকর ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার থেকে সিএএ-এর আবেদন করা যাবে জানানো হয়েছে। তবে সিএএ নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে 'বৈষম্যমূলক' বলে উল্লেখ করে এবার এই আইনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল মুসলিম পক্ষ।সিএএ-এর অধীনে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন ও খ্রিস্টার, বৌদ্ধ ও পার্সি ধর্মের লোকেরা নাগরিকত্ব পাবে। এই বিধানে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। সেই কারণেই বিক্ষোভ। বিরোধীদের দাবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে জাতের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা হয়েছে। মূলত সেই কারণেই বিরোধীতা। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, সিএএ-তে কোনও ধরনের বৈষম্য নেই। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (IUML) সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) বাস্তবায়নে স্থগিতাদেশ চেয়েছে। দেশব্যাপী বিতর্কিত আইন কার্যকর হওয়ার ঠিক একদিন পরেই এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
মুসলিমদের বিরোধিতার কারণ হল, বিরোধীরা বলছে, এই সংশোধনী আইনের মাধ্যমে আসলে টার্গেট করা হচ্ছে মুসলিমদের। তাদের ইচ্ছাকৃতভাবেই অবৈধ ঘোষণা করা হতে পারে। যেখানে বাকিরা বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই এদেসে জায়গা পেতে পারে। বিরোধীরা এই আইনকে মুসলিম বিরোধী বলছেন। তাদের দাবি, নাগরিকত্ব যখন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তখন তা ধর্মের ভিত্তিতে কেন দেওয়া হবে? কেন মুসলিমদের অন্তর্ভুকক্ত করা হয়নি সংশোধনী আইনে। এই বিষয়ে পাল্টা সরকারের যুক্তি, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান মুসলিম প্রধান দেশ। এখানে ধর্মের ভিত্তিতে অমুসলিমরা নির্যাযিত ও ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হয়েছিল। এই কারণেই অ-মুসলিমরা এখানে থেকে পালিয়ে এসেছে ভারতে। তাই শুধু এই আইনে অমুসলিমদের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য়, ভারতের সংসদে সিএএ পাশ হয় ২০১৯ সালে। এই বিলের পক্ষে ভোট দেন ১২৫ জন। ১০৫ জন ভোট দিয়েছিলেন বিলের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে ১২ ডিসেম্বর সিএএ বিলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সই করেন। কিন্তু বিল আইন হিসেবে তখনই কার্যকর করা যায়নি। করোনা মহামারী ও লকডাউন অন্য়তম কারণ। এছাড়াও ক্ষোভ-বিক্ষোভের আশঙ্কাতেই তা তখন কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তবে এই বিল কার্যকর হওয়ায় অ-মুসলিম শরণার্থীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। নাগরিকত্বের জন্য আবেদন পুরোটাই অনলাইনের মাধ্যমে হবে। এমনটাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে সেই আবেদন করতে হবে।