• CAA Implementation: মঙ্গলেই CAA-এর আবেদন, ১৯৫৫-এর আইনের সঙ্গে সংশোধনী নাগরিকত্ব আইনের পার্থক্য কোথায়? জানুন ৩ পয়েন্টে
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড় পদক্ষেপ মোদী সরকারের। দেশে কার্যকর হল সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শাসক দলের একাধিক নেতাই এর আগে বেশ কয়েকবার দাবি করেছিলেন লোকসভা ভোটের আগেই কার্যকর হবে সিএএ। তাঁদের সেই দাবি মিলে গিয়েছে। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্র সিএএ কার্যকর হওয়ার কথা ঘোষণা করে। সিএএ আইন অনুযায়ী নাগরিকত্ব পেতে মঙ্গলবার থেকেই আবেদন করা যাবে। বিল পাশ হয়ে আইন হওয়ার চার বছর পর দেশে কার্যকর হল সিএএ। সিএএ কী? ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন আর বর্তমান সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ফারাক কোথায়?সিএএ কী?

    পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে আসা অ-মুসলিম শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দিতেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আই আনা হয়। ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়েছিল। তবে নানা জটে তা আটকে ছিল এতদিন, বলবৎ করা যায়নি। সোমবার সন্ধ্যায় ভারত সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে অবশেষে তা কার্যকরের কথা ঘোষণা করে।

    আগের আইনের সঙ্গে পার্থক্য কোথায়? নতুন আইনে কী উল্লেখ?

    ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব পেতে টানা একবছর ভারতে থাকতে হবে। এছাড়া বিগত ১৪ বছরের মধ্যে ১১ বছর ভারতে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সংশোধিত আইনে সেই ১১ বছরের সময়কাল কমিয়ে করা হয়েছে পাঁচ বছর।১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে কোনও ধর্মের উল্লেখ ছিল না। ২০১৯ সালের কেন্দ্রীয় সরকার যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়েছে তাতে স্পষ্টত ধর্মের উল্লেখ রয়েছে। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, কোনো ভারতীয় বংশোদ্ভূত বা ভারতীয় উপমহাদেশে জন্মানো নাগরিক নির্দিষ্ট মেয়াদের বেশি ভারতে থাকলে তাঁকে এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে মুসলিম বা অমুসলিম বলে উল্লেখ ছিল না।

    অসম চুক্তিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য নাগরিকত্ব আইন (১৯৫৫) সংশোধন করে ১৯৮৫ সালে ৬-এ ধারা সংযোজিত করা হয়েছিল। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনটি সংশোধন হয়েছে মোট ছয়বার। ২০১৯ সালে সর্বশেষ সংশোধন করা হয়। সেবার উল্লেখ কর হয় ছয়টি ধর্মের। এতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে যদি তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে অমুসলিমরা এদেশে আসনে তাহলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে উল্লেখ রয়েছে নিপীড়নের শিকার হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও জৈন সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা।
  • Link to this news (এই সময়)