রাজ্যজুড়ে ১৫ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের বিশেষ প্রচার অভিযান। এই প্রচার অভিযানে তফশিলি জাতি ও উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় কর্মসূচি করবেন দলে নেতৃবৃন্দ। তৃণমূল জানাচ্ছে, এই কর্মসূচিতে তফশিলী জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে এক একটি এলাকার নেতৃবৃন্দ অন্তত ৩ থেকে ৫টি করে হটস্পটে আলোচনা সভার আয়োজন করবেন। একটি প্রচার পুস্তিকাও বিতরণ করা হবে। সেই পুস্তিকাতে দেশে তফশিলী জাতি ও উপজাতিদের প্রতি বিজেপির বিভিন্ন নেতিবাচক অভিপ্রায় তুলে ধরা হবে বলেও জানা গিয়ছে। একইসঙ্গে বাংলায় কী ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস তফশিলী জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে রক্ষা করে চলেছে, সেই বিষয়টিও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবে নেতৃত্ব।জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচিতে ৬ হাজারেরও বেশি এলাকায় পরিদর্শন করবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ১৫০টি প্রচার গাড়িতে করে চলবে কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে দেড় কোটিরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছনর চেষ্টা করবে তৃণমূল। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া তথা তফশিলী জাতি - উপজাতি ভোটকে পাখির চোখ করেই এই পদক্ষেপ তৃণমূল কংগ্রেসের।
প্রসঙ্গত সোমবারই দেশজুড়ে সিএএ লাগু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপরেই মতুয়া সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের মানুষ আনন্দোৎসবে মেতে উঠেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় রীতিমতো উৎসবের মেজাতে দেখা গিয়েছে মতুয়াদের। সিএএ লাগু করে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে বলেই জানাচ্ছেন তাঁরা। আর ভোটের আগে সিএএ লাগু হওয়ায় এর প্রভাব ভোটবাক্সে পড়তে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। আর সেই কারণেই তৃণমূলও পালটা মাঠে নামতে চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূলের বিশেষ প্রচার অভিযান
কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছে, নাগরিকত্বের জন্য নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন করতে হবে। যদিও তৃণমূল তথা রাজ্য সরকার অবশ্য প্রথম থেকেই এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে। মঙ্গলবার হাবড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'একটা কথা মন দিয়ে শুনে নিন, কেউ নাগরিকত্বের জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করবেন না, করলেই নাগরিকত্ব চলে যাবে, আপনাদেরকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বলবে, সম্পত্তি কেড়ে নেবে, তাই ওই ফাঁদে খবরদার পা দেবেন না!' যদিও বিজেপির তরফে বারবারেই দাবি পালটা দাবি করা হচ্ছে যে, মানুকে ভুল বোঝাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেখায় তফশিলী জাতি - উপজাতি নিয়ে কর্মসূচিতে কী বার্তা দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।