CAA কি মুসলিম বিরোধী? সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে নানা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই রটে গিয়েছে এই আইন মুসলিম বিরোধী। আদতে তা সত্য নয়। একটি স্পষ্ট বিবৃতি প্রকাশ করে জানাচ্ছে কেন্দ্র সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে তমলুকে দাঁড়িয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ করেছেন।
কী দাবি?আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার পক্ষ থেকে খবর প্রকাশ করা হয়। যেখানে লেখা হয়, 'লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারত সরকার ২০১৯ সালের মুসলিম বিরোধী নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করেছে।' এই খবরটিকে খারিজ করে PIB-র তরফে জানানো হয়েছে, CAA মুসলিম বিরোধী আইন নয়।
PIB-র জবাবএকটি অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে PIB উল্লেখ করেছে, 'নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে আল জাজিরা ইংলিশে। আইনটিকে মুসলিম বিরোধী বলা হচ্ছে। তা সত্য নয়।' সরকারি এই এজেন্সির পক্ষ থেকে আরও স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, কোনও ভারতীয়ের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। কোনও সম্প্রদায় কিংবা কমিউনিটির বিরুদ্ধে এই আইন নয়। আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হওয়া সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এই আইন।
কাদের দেওয়া হবে নাগরিকত্ব?পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ এবং পার্সি ধর্মের সংখ্যালঘু নাগরিক, যারা ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা CAA-এর অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য। সংসদের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ওই সময় পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা অ-মুসলিমদের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩১৩ জন। এই আইন কার্যকর হওয়ায় তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
চার বছর আগে ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এই নিয়ে দেশজুড়ে চলে বিতর্ক। প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঙ্গলবার দাবি করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে চালু করা যে পোর্টালে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অ্যাপ্লাই করতে বলা হয়েছে, সেখানে আবেদন করলে নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে। মমতা বলেন, ‘এই আইন এতদিন কেন হয়নি? ভোটের আগে কোনও আইন চালু করলে সেটা কি থোড়াই আইন হয়। আপনার অধিকার থাকবে কিন না সন্দেহ আছে। অর্থাৎ, আপনি ভোটটাও দিতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে।’