• 'আমার কাজ সতর্ক করা, কী করবেন আপনাদের ব্যাপার!' সিএএ নিয়ে বার্তা মমতার
    এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
  • ফের একবার সিএএ নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে বিভিন্ন উন্নয় বোর্ড এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ক্যা (CAA) আমার পছন্ন নয়। কিছুদিন আগে আধার কার্ড ডি অ্যাক্টিভেট করা হচ্ছিল। মানুষের অধিকার চিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আপনারা কী করবেন সেটা আপনাদের ব্যাপার। আমার কাজ সতর্ক করা, সেটাই করছি।'মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'পাকিস্তান, আফগানিস্তানকে নেওয়া হল। আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত আছে? পাঁচটটা সম্প্রদায়কে রাখল, আর মুসলমানদের বাদ দিয়ে দিল, যেন তাঁদের কোনও অবদান নেই! সবাই মিলেমিশে থাকুন। আমায় কিছু বলার থাকলে বলুন। আমি কখনওই বলব না যে আমি ভুল করি না। কাজ করলে ভুল হতে পারে। আমি ভগবান নই।' একইসঙ্গে সিএএ হলে মানুষের সম্পত্তির অধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন তিনি।

    মমতা বন্দ্যোপ্যধ্যায় বলেন, 'অনেক দেশ যেমন আমেরিকায় ৫ বছর থাকার গ্রিন কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়। কোথাও ১০ বছরে দেওয়া হয়, কোনও কোনও দেশে ৭ বছরে দিয়ে দেওয়া হয়। যদি আপনারা এই নিয়ম করতেন...জেলাশাসকের ওপর দায়িত্ব দিতে পারতেন, যে এখানে ১০ বছর রয়েছে এমন কেউ আবেদন করলে এবং তাঁর সমস্ত নথিপত্র ঠিক থাকলে তাঁকে নাগরকত্ব দেওয়া যেতে পারে। সারা বিশ্ব যা করেছে, সেই আইন অনুসরণ করেনি। এটি মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার আইন, খুবই মারাত্মক। যদি বাবা মায়ের মৃত্যু হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে কী ভাবে জন্মের সার্টিফিকেট আনবেন?'

    এরপরেই বিজেপি নিশানা করেন, 'সততার সঙ্গে নির্বাচনে লড়ুন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। দু'নম্বরি করে লড়াই করার কী দরকার? আপনারা এমনিতেই নাগরিক। আপনারা, কত প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, পঞ্চায়েত, পুরসভা নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের ভোটেই তো আমরা আছি।' প্রসঙ্গত, নির্বাচন সিএএ নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকার। রাজ্যে সিএএ লাগু করতে দেওয়া হবে না বলেও বারেবারেই জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সিএএ লাগু হওয়ার পর থেকেই ফের একবার এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তিনি।এর আগে এদিন দুপুরে হাবড়ার সভা থেকেও সিএএ-র বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সিএএ আইনটি এনআরসির সঙ্গে যুক্ত বলেও সাফ দাবি করেন তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)