তমলুক থেকে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরকমটাই জল্পনা সর্বত্র। জল্পনাকে কিছুটা মান্যতা দিয়ে মঙ্গলবারই তমলুক কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত তিনি। স্থানীয় মন্দিরে পুজো দেওয়া থেকে শুরু করে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপ পরিচয়, সেরে রাখলেন প্রচার পর্বের প্রাথমিক কাজ। সেখানে গিয়ে শাসক দলকে নিশানা করে আগামীতে ‘নতুন দিন’ দেখার বার্তা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।গতকালই গোটা দেশ জুড়ে সিএএ চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই আইনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে ‘রাজনৈতিক খেলা’ রয়েছে, মানুষকে ‘ভাঁওতা’ দিতেই এই আইন চালু করা হল বলে মতপ্রকাশ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সিএএর মধ্যে তো কোনও অসুবিধা নেই। সিএএ তো যে কোনও দেশেই চালু হতে পারে। আজকে যাঁরা এর বিরুদ্ধে একটি বিকৃত প্রচার চালাচ্ছেন, তাঁরা বুঝেও মিথ্যা কথা বলছেন।’
এদিন উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় একটি সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাজ্যের কোনওভাবেই ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। মানুষের অধিকার কেড়ে নিতে দেব না। এর জন্য যদি আমায় প্রাণ দিতে হয়, আমি প্রাণ দিতে রাজি আছি।’ নন্দীগ্রাম থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সিএএতে তো কারও নাগরিকত্ব যাবে না। এটার মাধ্যমে তো নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’ ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘কে করবে ডিটেনশন ক্যাম্প? কাউকে তো ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হচ্ছে না। এসব করার তো কোনও প্রয়োজন নেই। যখন হবে তখন দেখা যাবে।’
সদস্য বিচারপতির আসন থেকে অবসর নিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর বিজেপিতে যোগদান। বিজেপির তরফ থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম প্রকাশ করার আগেই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে দেওয়াল লেখন শুরু। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দেওয়া এবং জনসংযোগ শুরু করেন।
যদিও এটা দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল তৃণমূল। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অসীত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, টেস্ট করে দেখছে মানুষ চাইছে কি না, দলের কোনও নীতি আদর্শ নেই। লোভী মানুষকে কেউ প্রছন্দ করবে না। উনি তমলুকে পার্থী হলে আমাদের সুবিধে। আমাদের কাজ অনেকটা কমে যাবে।ওকে নিয়ে আমরা ভাবছি না। কত বেশি মার্জিনে আমরা জিতব তার চেস্টা করছি।’