ফের 'জনগর্জন', জলপাইগুড়ি থেকেই প্রচার শুরু অভিষেকের?
এই সময় | ১২ মার্চ ২০২৪
ঘোষণা ছিল আগেই, সেই মতোই এবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রচার শুরু করতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি গিয়ে শুরু হচ্ছে তাঁর কর্মসূচি। আগামী ১৪ মার্চ জলপাইগুড়িতে সভা করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই সভার নামও দেওয়া হয়েছে 'জনগর্জন সভা'। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে ময়নাগুড়ি টাউন ক্লাব মাঠে সভা করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রসঙ্গত, গত ১০ তারিখ ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ছিল তৃণমূলের জনগর্জন সভা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের বিভিন্ন নেতানেত্রী সেই সভায় বক্তব্য রাখেন। মূলক কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এবং 'বাংলা বিরোধী'বিসর্জনের আহ্বান জানিয়ে ওই সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভা থেকে ৪২ জন প্রার্থীর নামও ঘোষণা করা হয়।
জলপাইগুড়ি থেকে নির্মল চন্দ্র রায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। গত বছর ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয় নির্মল চন্দ্র রায়। এবার তাঁকে আরও বড় মঞ্চে সুযোগ দিল দল। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, এই সভা থেকে নির্মল চন্দ্র রায়ের হয়ে কার্যত প্রচারই করবেন অভিষেক। সেক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি থেকেই হয়ত রাজ্যব্যাপি প্রচার কর্মসূচি শুরু করতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে জয়ী হয় বিজেপি। ৭ লাখ ৬০ হাজার ১৪৫ ভোট পেয়ে সাংসদ হন জয়ন্ত কুমার বর্মন। বিপক্ষে তৃণমূলের বিজয় চন্দ্র বর্মন পেয়েছিলেন ৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৪১ ভোট। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার মধ্যে শুধুমাত্র রাজগঞ্জ ছাড়া বাকি প্রতিটিতেই ২০১৯-এ লিড পায় বিজেপি। যদিও পরে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় ওই ৭টি বিধানসভার ফলাফলে অনেকটাই পরিবর্তন দেখা যায়। সেক্ষেত্রে এবার এই লোকসভা আসনটি আসন বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে আনতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। আর সেই লক্ষ্য থেকে, প্রতিপক্ষ বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'একশো দিনের কাজ সংবিধানের গ্যারান্টি, বলছে টাকা পাঠিয়েছিলাম, খেয়ে নিয়েছে, কোথায় খেয়েছে, জবাব দাও, টাকাই তো দাওনি, খাবে কোথা থেকে?' একইসঙ্গে গত তিন আর্থিক বর্ষে কেন্দ্র একশো দিনের কাজে কোনও টাকা দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এখন দেখার নেত্রীর অভিযোগের পর জলপাইগুড়ির সভা থেকে কতটা সুর চড়ান অভিষেক।