লোকসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। প্রাক্তন এই ক্রিকেটারকে প্রার্থী করে রীতিমতো চমকে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
এদিকে প্রাক্তন ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসা নিয়ে মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। 'দাদা' বাংলা ও বাঙালির আবেগ । তাঁর রাজনীতিতে আসা নিয়ে একাধিকবার জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, শেষমেশ রাজনীতিতে পা রাখেননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবার ইউসুফ পাঠানের প্রার্থী হওয়া নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন।ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের রাজনীতিতে আসার মধ্যে কোনও খারাপ বিষয় দেখছেন না দাদা। বরং তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসছেন। আর এই পদক্ষেপকেই স্বাগত জানয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'ক্রিকেটাররা রাজনীতিতে আসতেই পারে। তাঁরা সবসময় ভালো কাজ করেন। কীর্তি আজাদ দীর্ঘ সময় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এক্ষেত্রে তাঁদের কাছে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ থাকে। ইউসুফ পাঠান দীর্ঘ সময় কলকাতার জন্য খেলেছেন। তিনি এবার বহরমপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন অধীরদা (অধীর চৌধুরী)-র বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে বিষয়টা ইউসুফের ব্রেট লির সামনে ব্যাট করার মতো।'
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনা একাধিকবার উঠেছে। কিন্তু, দাদা অবশ্য সেই জল্পনা ভুল প্রমাণিত করে এসেছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাঙালির আবেগ। তাঁকে রাজনীতিক হিসেবেও দেখতে চান অনেক ভক্তরাই। যদিও সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান সযত্নে এড়িয়েই গিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র বরাবর কংগ্রেসের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। পরপর পাঁচবার সেখানে প্রার্থী হয়েছেন অধীর চৌধুরী। ১৯৯৯ সালে তাঁর প্রথম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়া। এরপর পাঁচবার তাঁকে প্রার্থী করা হয়। কোনওবারই তিনি দলকে নিরাশ করেননি।
Lok Sabha Election 2024 : জনগর্জন সভার মঞ্চ থেকে ৪২ জনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা তৃণমূলের, এক নজরে তালিকা
এদিকে বহরমপুর কেন্দ্রের লড়াই আরও জমাটি হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এই প্রসঙ্গে তাঁদের দাবি, ‘হুমায়ুন কবীর ইউসুফ পাঠানের বিরুদ্ধে হুংকার দিয়েছেন। নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর বড় চমক দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। সেই জায়গা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে কি দল কোনও পদক্ষেপ নেবে তাও দেখার।’
রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, ‘বহরমপুরে একটি বড় অংশ সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। অন্যদিকে, ইউসুফ পাঠানের ভাবমূর্তি অত্যন্ত স্বচ্ছ। দেশকে তিনি গর্বিত করেছেন একাধিক সময়। সেই আবেগকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল।’ এখন দেখার এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ঠিক কে জয়ী হয়!