Electoral Bonds Case : সুপ্রিম নির্দেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচনী বন্ডের হিসেব জমা SBI-এর, বুধেই প্রকাশ্যে তথ্য?
এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তার আগেই রাজনৈতিক দলগুলির আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আর টাকা সংগ্রহ করতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। এই নিয়ে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিল যে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য তুলে দিতে হবে এসবিআই-কে। সেই নির্দেশ মেনেই তথ্য জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। এবার সেই তথ্য প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।বেঁধে দেওয়া হয় সময়সীমা
আগেই ওই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সব তথ্য আদালতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত ৬ তারিখের মধ্যেই ওই তথ্য জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে। যদিও আরও সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ব্যাঙ্ক। সব কিছু খতিয়ে দেখার জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক। কিন্তু সোমবার সেই আবেদন নাকচ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই তথ্য জমা দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
প্রকাশ করতে হবে তথ্য
একই সঙ্গে ওই বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত নির্দেশ দিয়েছে ওই তথ্য প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী শুক্রবারের মধ্যেই নিজেদের ওয়েবসাইটে এই বন্ড সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে বলেও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
বন্ড অসাংবিধানিক
এর আগে এই বন্ড নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসেই , শুনানির সময়ে এই নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘ক্ষতিকারক’ বলে মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট ওই বন্ড অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল এসবিআইকে। সেই সঙ্গেই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোন রাজনৈতিক দল কত টাকা অনুদান পেয়েছে, তাদেরকে কারা ওই অনুদান দিয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।
৬ মার্চ-এর মধ্যে এই তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেয়নি স্টেট ব্যাঙ্ক। এই জন্য দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অবমাননার মামলাও করা হয়।