Lok Sabha Election 2024: লোকসভা ভোটে ভোটার পিছু কত টাকা খরচ হয়? জানুন নির্বাচন কমিশনের 'হাঁড়ির খবর'
এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
সাধারণ নির্বাচনে ঘোষণা হতে আর বেশি দেরি নেই। খুব শীঘ্রই ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে প্রচার ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি, তৃণমূল সহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনে জেনে নেব নির্বাচনের খুঁটিনাটি।১ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ভারতে ৯৪.৫ কোটি ভোটার নিবন্ধিত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ বলা হয় ভারতকে। আগামী এপ্রিল থেকে মে-মাসে ভারতে লোকসভা নির্বাচন হতে পারে। ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে থেকে তুমুল প্রচার চালায় যুযুধান দুই প্রধান শিবির। তাতে দেদার খরচও দেখেছে দেশবাসী। তবে সবকিছুরই একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সবকিছুর উপর নজর রাখে নির্বাচন কমিশন।
কখন প্রস্তুতি শুরু করে নির্বাচন কমিশন?
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ থেকে শুরু করে নির্বাচনী দিনক্ষণ ঘোষণা, নির্বাচনের আচরণ বিধি, নির্বাচনে কত খরচ হবে তার সীমারেখা বেঁধে দেওয়া সর্বোপরি সব রাজ্যে যাতে অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোট হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পরিচালনার মূল দু'টি দিক রয়েছে। প্রথম বিষয় হল পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা প্রস্তুতি। অর্থাৎ ভোটার তালিকায় যাতে কোনও কারচুপি না থাকে তা নিশ্চিত করা। অন্যটি হল যৌক্তিক পরিকল্পনা।
২০১৯ সালে ৯১ কোটি ভোটারের জন্য ছিল ১০ লাখ ভোট কেন্দ্র। ১৯৫১ সালে যখন প্রথম সাধারণ নির্বাচন হয় দেশে সে সময় ১৭ লাখ ভোটারের জন্য ছিল ১ লাখ ভোট কেন্দ্র। প্রায় চার মাস ধরে চলে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের অন্যতম নীতি হল ভোটকেন্দ্রে সহজে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা। কিছু বুথকে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশন। যে সমস্ত এলাকায় অতীতে হিংসার ঘটনা ঘটেছে সেই প্রেক্ষিতে বিচার করে স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে সেগুলিকে চিহ্নিত করা হয়। স্পর্শকাতর বুথগুলির জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়।
নির্বাচন কমিশনে ৫০০-৬০০ জন কর্মী রয়েছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী ভোটের সময় কোনও সরকারি বিভাগের সহায়তা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের।
নির্বাচনে ভোটার পিছু খরচ কত?
২০১৯ সালে ভোটর পিছু সর্বোচ্চ ১০০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। তাঁদেরই একমাত্র ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকার রয়েছে যাঁরা ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করেছেন। গত সাধারণ নির্বাচনে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।