‘কেমন পড়াশোনা হচ্ছে?’ স্কুলে ঢুকে খোঁজ মুখ্যমন্ত্রীর! আপ্লুত পড়ুয়ারা
এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
কী ভাবে পড়াশোনা হয়? খাবারের মেনুতে কী কী থাকে? আসছিল একের পর এক প্রশ্ন। কিছুটা জড়োসড়ো হয়েই উত্তর দিচ্ছিল ছাত্রটি। খানিক ভয়ের মাঝেও বেশ খানিকটা উদ্দীপনা কাজ করছিল তাঁর মধ্যে। এই সময়টুকু ভোলার নয়, অকপটে জানাল সেই ছাত্র। কারণ, উল্টোদিকে প্রশ্নকর্তা স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।স্কুল পড়ুয়া নীলকান্ত বর্মনের কাছে যেন এক স্বপ্নের দিন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে কথা বলবেন তার সঙ্গে তা যেন এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না এই পড়ুয়ার। রাজ্যের সরকারি স্কুল গুলির মধ্যে একমাত্র স্পোর্টস স্কুল রয়েছে হাবড়ার বানীপুরে। ডঃ বি আর আম্বেদকর স্পোর্টস স্কুল। আর এই স্পোর্টস স্কুলের মাঠেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামার জন্য হেলিপ্যাড করা হয়। স্কুল গণ্ডির ভেতরে থাকায় নিরাপত্তার কারণেই এখানে হেলিপ্যাড করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল চারপাশ। মোতায়েন ছিলেন পুলিশ আধিকারিক থেকে এসপিজির আধিকারিকেরাও।
আর সেই ব্যারিকেডের এক পাশেই, সকাল থেকে রোদের প্রখর তাপকে উপেক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন ডঃ বি আর আম্বেদকর স্পোর্টস স্কুলের পড়ুয়ারা। মুখ্যমন্ত্রীর ফিরতি পথে অভ্যর্থনা জানাতে পড়ুয়াদের হাততালির শব্দ তখন ছাপিয়ে গিয়েছে সভার কোলাহলও। আর তখনই হেলিকপ্টারে ওঠার আগে মুখ্যমন্ত্রী এই খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করার জন্য চলে আসেন মাঠের অপরপ্রান্তে। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ একাধিক আধিকারিকেরা। পড়ুয়াদের সামনে এসে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন তারা কেমন আছেন? কীভাবে পড়াশোনা হচ্ছে? তারা সারাদিন কী খাবার পান সে বিষয়েও খোঁজ খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খাবার মেনু শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমতো এই স্কুলে ভর্তি হওয়ারও ইচ্ছা প্রকাশ করেন ছাত্রদের কাছে।
ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁদের জন্য পরে মিষ্টি পাঠিয়ে দেবেন বলেও কথা দেন। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে কথা বলে রীতিমতো আনন্দিত এই স্পোর্টস স্কুলের ছাত্ররা। নানা ধরনের খেলাধূলার প্রশিক্ষণ সহ রাজ্যের একমাত্র এই স্কুলেই নির্দিষ্ট যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষার পাশাপাশি খেলোয়াড় তৈরির জন্য প্রতিবছর প্রায় ৩০ জন করে ছাত্র ভর্তি নেওয়া হয়। ট্রাক অ্যান্ড ফিল্ড, জাম্পিং, থ্রোয়িং সহ একাধিক খেলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মোট আটচল্লিশ জন স্টুডেন্ট ও সাতজন শিক্ষক নিয়ে চলে রাজ্যের একমাত্র স্পোর্টস স্কুল।