তৃণমূলের ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা সম্পূর্ণ। এখনও বিজেপির তরফে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। এই সময়টাতেই প্রচারে ঝড় তুলতে উঠে পড়ে লাগছে বিজিপিএম কর্মীরা। কথা হচ্ছে, দার্জিলিং আসন নিয়ে। এই আসন থেকে এবার বিজিপিএম সমর্থিত তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন আমলা গোপাল লামা। তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারের রূপরেখা তৈরি করে ফেলেছে বিজিপিএম কর্মীরা।কলকাতা থেকে মঙ্গলবার দার্জিলিঙে ফেরেন তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী গোপাল লামা। মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে তৃণমূলের পাশাপাশি ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা বিজিপিএম এর কর্মী সমর্থকেরা ভিড় করেন। এদিন বিমানবন্দর থেকে প্রার্থীকে নিয়ে রোড শোয়ের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার থেকেই জোরকদমে প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ থেকে তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। প্রাক্তন আমলা গোপাল লামাকে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে দাঁড় করানো হয়েছে। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে তৃণমূল ও বিজিপিএম নেতৃত্বদেরও দেখা গিয়েছে। প্রার্থীকে নিয়ে সমতল ও পাহাড়ে জোরদার প্রচারে নামা হবে।
জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ জানান, প্রার্থীর হয়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই শিলিগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল, রোড শো, এলাকায় যাওয়া হবে। অন্যদিকে দার্জিলিং পাহাড়ে প্রার্থীর হয়ে বিজিপিএম প্রচার চালাবে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের প্রার্থীর সমর্থনে বিজিপিএম নেতৃত্বরা পাহাড়জুড়ে প্রচার চালাবেন বলেই জানিয়েছেন জিটিএফ চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের কোনও নেতাকে প্রার্থী না করিয়ে বিজিপিএম মনোনীত প্রার্থীকে দাঁড় করানো হোক, এই আবেদন রাখা হয়েছিল শাসক দলের কাছে। পাহাড়ের রাজনীতির প্রেক্ষাপটের কথা মাথায় রেখে সেই আবেদনে সহমত পোষণ করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেষ বিজিপিএম মনোনীত প্রার্থীকেই সেখানে দাঁড় করানো হয়।
উল্লেখ্য, দার্জিলিং জেলায় মহকুমা শাসক ছিলেন গোপাল লামা, এছাড়া পরবর্তীকালে অতিরিক্ত জেলা শাসক পদে কাজ করেছেন তিনি। দার্জিলিঙের বাসিন্দাদের কাছে তিনি পরিচিত মুখ। সেক্ষেত্রে চেনা মুখ প্রার্থী হওয়ার কারণে প্রচারের দিক থেকেও তৃণমূল অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বলে মনে করছে তৃণমূলও। এ দিকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গেলেও দার্জিলিঙ লোকসভা কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন বিজেপি এর তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। দলের মধ্যেও এ নিয়ে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। প্রার্থী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত প্রচারে নামা যাচ্ছেনা বলে জানান জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।