হাওড়ার শিবপুর লঞ্চঘাটের জেটি ভেঙে যাওয়ার ফলে বন্ধ ফেরি পরিষেবা। সূত্রে মারফত জানা যিয়েছে জলের তোড়ে জেটির চেইন ভেঙে যায়। যার ফলে ঘটে যায় এই বিপত্তি। এর জেরে সোমবার থেকে পরিষেবা বন্ধ। ফলত বহু যাত্রী অসুবিধা সম্মুখীন হচ্ছেন। জেটি ভেঙে যাওয়ার পর হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি তরফ থেকে এই পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার জেরে নদী পারাপারের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধা সম্মুখীন হচ্ছে নিত্যযাত্রীরা।এই প্রসঙ্গে এক যাত্রী বলেন, 'রবিবার সকালে একটা চেন ভেঙেছিল, আর রাত্রে একটা ভাঙে। তারপর থেকে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এর আগেও অনেকবার হয়েছে। আধিকারিকরা এসেছিলেন, দেখে গিয়েছেন, কিন্তু এখনও কিছু হয়নি। ফলে অসুবিধা হচ্ছে।' অপর এক যাত্রী বলেন, 'বছরে ৩ - ৪ বার করে জেটি ভেঙে যায়। কেন ভেঙে যায়? লঞ্চ চলছে না। আমরা যাতায়াত করব কী বাবে? অসুবিধা হচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, শিবপুর ও বাবুঘাটের মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই জল পরিবহণ। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে বারেবারেই ঘটেছে এই জেটি ভাঙার ঘটনা। যার জেরে প্রতিবারেই চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে হাজার হাজার যাত্রীকে। যাত্রীদের অনেকেরই দাবি, কয়েক বছর পরপরই জলের তোড়ে ভেঙে যায় জেটি। তার পরে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেটি মেরামতও করা হয়। কিন্তু আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। তাঁদের প্রশ্ন, এত খরচ করে মেরামতির পরেও ফের কী ভাবে একই জেটি বারেবারে ভাঙছে?
এই বিষয়ে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান রায়চরণ মান্নার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই সময় জিজিটালকে জানান, তিনি আউট অফ স্টেশন রয়েছেন। তবে খবর পেয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। তিনি আরও জানান, শিবপুর লঞ্চঘাট জেটি কেন বারেবারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তার মূল কারণ খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে, যাতে মেরামতি করার পর এই ধরনের ঘটনা ফের না ঘটে। পাশাপাশি যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য আপাতত শিবপুর ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। রায়চরণ মান্না আরও জানান, তাঁরা চাইছেন মূল কারণ জানার পর, নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করে পুনরায় জেটি সংস্কার কাজ শুরু করতে। খুব তাড়াতাড়ি যাতে এই পরিষেবা পুনরায় চালু করা যায়, তার জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।