সোমবার দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অধীরের কণ্ঠে শোনা গেল বিরোধীতার সুর। CAA-কে সামনে রেখে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন তিনি।মঙ্গলবার বহরমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধীর চৌধুরী। সেখানেই তিনি বলেন, ' সরকার নাগরিকত্ব আইনের নামে দেশের মানুষের মধ্যে অদ্ভুত বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করল যা আদতে অপ্রয়োজনীয়।'
এখানেই শেষ নয়, অধীরের সংযোজন, '২০২১ সালে সংসদে প্রশ্ন তোলা হয় নাগরিক আইন পাশ হওয়ার পর দেশে কতজন অমুসলিমকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী। এই নিয়ে সরকারের তরফে যে আইন আনা হয়েছে তাতে কতজন অমুসলিম সুবিধা পেয়েছে তার তালিকা সংসদে পেশ করা হয়। সেখানে মাত্র ১৪১৪ জনকে সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।’
এখানেই শেষ নয়, অধীরের সংযোজন, 'অযথা বিভাজনের রাজনীতি করার জন্য একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হচ্ছে। কোনও স্বাধীন দেশে এই নিয়ম হতে পারে না। ২০১৯ সালে আইন নিলেও ২০২৪ সালে নির্বাচনের আগে তার নিয়ম কেন প্রকাশ করা হচ্ছে?' অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, 'CAA নিয়ে বাংলার মানুষ কেউ বিভান্ত হবেন না। কারও নাগরিকত্ব খারিজ হবে না। এটি নির্বাচনী জুমলা। জাতীয় কংগ্রেস মানুষের পাশে থাকবে। রমজান মাসের প্রথম দিন এটা আমার অঙ্গীকার।'
অধীর বলেন, ' CAA নিয়ে পোর্টালের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কিছুই নির্দিষ্ট নেই। দরকার হলে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোর্টাল বসিয়ে আবেদন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করব। সিএএ নিয়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যদি কেউ হয় সেক্ষেত্রে তা হিন্দু সম্প্রদায় হবে। নির্বাচনের আগে শুধুমাত্র ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। এতে বিজেপি, তৃণমূল দুজনেরই লাভ হচ্ছে।'
এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে যোগদান এবং তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়া নিয়ে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকের ভোটে লড়ার অধিকার রয়েছে। তৃণমূল দলে চোরের অভাব নেই। সেখানেও পোস্টার দেবে।' উল্লেখ্য, অতীতে অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।’ যদিও রাজনীতিতে পা রাখার সময় অবশ্য কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। হাত শিবিরকে আক্রমণ করে প্রাক্তন এই বিচারপতি যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে।