Jan Aushadhi Kendra: রেশন দোকানেও এবার থেকে জন-ঔষধি কেন্দ্র
এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
এই সময়: এ বার থেকে রেশন দোকানে গড়ে উঠবে প্রধানমন্ত্রী জন-ঔষধি কেন্দ্র। সেখান থেকে কম দামে ওষুধ কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। রেশন দোকানের খোলনলচে পরিবর্তনে এমন অভিনব সিদ্ধান্তই নিয়েছে খাদ্যমন্ত্রক। জন-ঔষধি কেন্দ্র খোলার জন্যে রেশন ডিলারদের স্বল্প সুদে ঋণও দেবে স্মল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
এই মুহূর্তে সারা দেশে প্রায় সাড়ে ন’হাজার প্রধানমন্ত্রী জন-ঔষধি কেন্দ্র রয়েছে। আর পাঁচটা মেডিসিন শপের তুলনায় সেখান থেকে অনেক কম দামে ওষুধ পাওয়া যায়। ফলে জন-ঔষধি কেন্দ্রের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। তাই দেশজুড়ে জন-ঔষধি কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সে জন্যেই রেশন দোকানকে বাছা হচ্ছে। তাতে সাধারণ মানুষ যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই রেশন ডিলারদের রোজগারও বাড়বে।
কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, ‘গোটা দেশেই রেশন দোকান ছড়িয়ে রয়েছে। মূলত গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ রেশন দোকানে বেশি যাতায়াত করেন। দেশে এমন অনেক প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে যেখানে আশপাশে কোনও ওষুধের দোকান নেই। কিন্তু রেশন দোকান রয়েছে। রেশনে জন-ঔষধি কেন্দ্র তৈরি হলে আশপাশের মানুষজন কম পয়সায় ওষুধ কিনতে পারবেন। জন-ঔষধি কেন্দ্র চালিয়ে বাড়তি রোজগার করতে পারবেন রেশন ডিলাররাও।’
সরকারি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী জন-ঔষধি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে প্রায় ১৮০০ ধরনের ওষুধ এবং ৩০০-র মতো মেডিক্যাল ডিভাইস পাওয়া যায়। যে কোনও ব্র্যান্ডেড ওষুধের তুলনায় এখানে গড়ে ৫০-৯০ শতাংশ কম দামে ওষুধ পাওয়া যায়। জন-ঔষধি কেন্দ্র খোলার জন্যে ন্যূনতম জায়গা প্রয়োজন ১২০ বর্গফুট। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এতে সর্বস্তরের মানুষ উপকৃত হবেন। রেশন ডিলারদেরও আয় বাড়বে। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই আমাদের সঙ্গে ‘মউ’ সই হবে।’