রমজান মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে রোজা রাখা শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সূর্যোদয়ের আগে সেহরি ও সূর্যাস্তের পর ইফতার পালন করলেন তারা। আর ইফতার মানেই খাবারের তালিকায় হালিম থাকা চাই-ই চাই। কিন্তু, জিভে জল আনা সেই খাবার কিনতে গিয়েই হুলস্থুল বাঁধালেন অসংখ্য মানুষ।প্রথমদিন রোজা ভাঙার পর হায়দরাবাদ শহরে হালিম খেতে হাজির হয়েছিলেন একদল মানুষ। চারমিনারের শহরে মালাকপেট বাজারের একটি দোকান ঘোষণা করেছিল, প্রথমদিন রোজা শেষে সন্ধ্যায় বিনামূল্যে হালিম পাওয়া যাবে। লোভনীয় সেই অফার মিস করেত চাননি কেউই। ফলে কাতারে কাতারে মানুষ ওই দোকানের সামনে হালিম খেতে জড়ো হন। আর তাতেই বিপত্তি বাধে।
রোজা শেষে সন্ধ্যা গড়াতেই ভিড় উপচে পড়ে হায়দরাবাদের মালাকপেট বাজারের রেস্তরাঁটিতে। যত সময় এগোয় ভিড় বাড়তে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই হালিম শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়। যা ক্রমে ধস্তাধস্তিতে গড়ায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মালাকপেট অঞ্চলে রেস্তরাঁটির সামনে। মারাত্মক ভিড়ের কারণে হায়দরাবাদের এই অন্যতম ব্যস্ত রাস্তায় ট্র্যাফিক জ্যাম হয়ে যায়। সমস্যায় পড়েন পথচলতি মানুষও।
ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশের দ্বারস্থ হয় রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে জমায়েত সরানোর চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত জনতাকে বাগে আনতে না পেরে লাঠিচার্জও করতে হয় স্থানীয় পুলিশকে। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। শাটার ফেলে দেওয়া হয় ওই রেস্তরাঁটিতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সঠিক সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করলে এলাকায় অঘটন ঘটে যেতে পারত।
প্রথম দিনের রোজা চলে ১৩ ঘণ্টা ১৯ মিনিট ধরে। রোজার সময় আল্লাহর ইবাদত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। পানাহার থেকে বিরত থাকেন। এমনকী এই সময়ের মধ্যে থুতুও গিলতে পারেন না তারা। সারাদিন নির্জলা উপবাস করেন তারা। সন্ধ্যায় মগরিবের নমাজ হয়। আজান শুনে উপবাসভঙ্গ করেন মুসলিমরা। যে খাবার খেয়ে এই উপবাস তথা রোজা ভঙ্গ করা হয় সেটাকেই বলে ইফতার। এই ইফতার শেষে মগরিবের নমাজ পাঠ হয়। অরবি ভাষায় সেহরি কথাটির অর্থ ঊষার পূর্বের খাবার। অর্থাত্ সূর্যোদয়ের আগে যা খেয়ে নিতে হবে। রমজান মাসে সূর্য ওঠার আগে মুসলিমরা যে খাবার খেয়ে থাকেন সেটিই সেহরি।