SBI Submits Electoral Bonds: কমিশনের হাতে নির্বাচনী-বন্ড তথ্য, কার থেকে কত চাঁদা পেয়েছে দলগুলি? জানা যাবে কি?
এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
দেশের নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য অবশেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিলে স্টেট ব্য়াঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তথ্য জমা দেওয়ার সীমা বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত নথি জমা দিল এসবিআই।১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ওই বন্ড বাতিল করার কথা ঘোষণা করে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামে টাকা দেওয়ার ব্যবহৃত মাধ্যম নির্বচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল থেকে এই পর্যন্ত কোনও ব্য়ক্তি বা প্রতিষ্ঠান যত বন্ড কিনেছে তার পরিমণ কত ও সেই বন্ড কোন রাজনৈতিক দল পেয়েছে তা জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু প্রক্রিয়াটি সময় সাপেক্ষ এই যুক্তি দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন করার আর্জি জানায় এসবিআই। তবে সোমবার SBI-এর আবেদন খারিজ হয়। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যেই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। অন্যথায় ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। এরপরই মঙ্গলবার ব্য়াঙ্কের তরফে সেই তথ্য় তুলে দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের হাতে।
কোন দলকে কে কত টাকা দিয়েছিল তা কি জানা যাবে?
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্য়মে কোন রাজনৈতিক দল কার কাছ থেকে কত টাকা চাঁদা পেয়েছে তা জানাতে হবে না। গত পাঁচ বছরে, স্টেট ব্যাঙ্কের থেকে কে কত টাকার বন্ড কিনেছে তা জানাতে হবে। সেই বন্ডের মাধ্যমে কে কত টাকার চাঁদা পেয়েছে তাও জানাতে হবে। কিন্তু দু'দিকের তথ্য মিলিয়ে দেখে কে কার থেকে কত টাকা পেয়েছে তা জানাতে হবে না।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর বিরোধী শিবির মনে করছে এতে মোদী সরকার বিজেপির সুবিধা হয়েছে। কারণ নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্ধেকের বেশি চাঁদা পদ্ম শিবির পেয়েঠে কিন্তু কোন শিল্প সংস্থার থেকে বিজেপি কত টাকা চাঁদা পেয়েছে তা গোপন রাখতেই চালু হয়েছিল নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা। শীর্ষ আদালত নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থা খারিজ করে সব তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেওয়ায় কেন্দ্রের পরামর্শেই স্টেট ব্যাঙ্ক সুপ্রিম কোর্টে বলে, ৩০জুন পর্যন্ত সময় লাগবে, যাতে লোকসভা ভোটের আগে কেউ জানতে পারে বিজেপি কোন শিল্পপতির চাঁদায় ভোটে লড়ছে। সুপ্রিম কোর্টই স্পষ্ট করে দিয়েছে, কার কাছ থেকে বিজেপি কত টাকা চাঁদা পেয়েছে, তা জানাতে হবে না স্টেট ব্যাঙ্ককে।