লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। ইতিমধ্যেই ৪২টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। হাওড়া থেকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে ঘাসফুল শিবির। এবার এই নিয়ে ক্ষোভের সুর শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাই স্বপন(বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। কিন্তু, তাঁর BJP-তে যোগদানের জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। নিকট আত্মীয় জন্যই দিল্লিতে গিয়েছেন, সাফ জবাব মমতা সহোদরের।মঙ্গলবারই দিল্লিতে যান স্বপন। এরপরেই তীব্র শোরগোল পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার শুরু হয় তিনি নাকি বিজেপিতে যোগদান করছেন। কিন্তু, এই যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এবিপি আনন্দ-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট জানান, ‘এর মধ্যে কোনও সত্যতা নেই।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘দিদির জন্য আছি। দিদি যতদিন বেঁচে রয়েছে ততদিন অন্য কোথাও যাওয়ার প্রশ্ন নেই। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যতদিন আছে দল ছাড়ব না।’
আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনওদিন যাইনি, যাবও নাস্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়
সেক্ষেত্রে কেন তিনি দিল্লি গিয়েছেন? সেই কারণও খোলসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই। তিনি বললেন, ‘দিল্লিতে আমার এক দাদার অপারেশন রয়েছে, সন্তুদা-সেই কারণেই এখানে এসেছি।’ অর্থাৎ তাঁর দিল্লি যাওয়ার সঙ্গে রাজনীতির দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও যোগাযোগ নেই, স্পষ্ট দাবি করেছেন মমতার ভাই।
তবে হাওড়ার তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে একরাশ ক্ষোভ শোনা যায় স্বপনের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করে বলতে পারি আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনওদিন যাইনি, যাবও না। প্রথম থেকে আমি পার্টির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছি। আজ পর্যন্ত দলের বিরুদ্ধে যাইনি। যে মানুষটা মোহনবাগান ক্লাবে জেনারেল মিটিংয়ের সময় আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে অপমান করেছিল সেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার প্রচুর অ্যালার্জি। কারণ একটা মানুষ যিনি ক্লাস থার্ড পাশ করতে পারেন না তাঁকে গ্র্যাজুয়েশন পাশ করিয়ে দিচ্ছে। হাওড়ার কোনও মানুষ ওঁকে মেনে নিচ্ছে কিনা আমি জানি না। আমি বলতে পারি এই প্রার্থীটা ঠিক হয়নি তৃণমূলের।'
পাশাপাশি নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর কথাও বলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বলেন, ‘নির্দল প্রার্থী হয়েও হয়তো হাওড়া কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারি। দিদি আমার কাছে ভগবান। তাঁর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। কিন্তু, আমার লড়াইটা কার বিরুদ্ধে সবাই জানে। দিদির থেকে আশীর্বাদ চাইব…’
তিনি আরও বলেন, 'প্রসূন MP ল্যাডের টাকা শেষ করতে পারেন না। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন। অনেক ভালো ভালো প্রার্থী পদপ্রার্থী ছিল। আমার মনে হয় ওঁকে না প্রার্থী করতেই পারত।'