• Calcutta Medical College : মেডিক্যালে নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে অধরাই পরিষেবা, প্রশ্ন
    এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়: রাজ্যের দ্বিতীয় সরকারি হাসপাতাল হিসেবে মঙ্গলবার নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন মেডিক্যালে যে ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করেন, তার অঙ্গ হিসেবেই চালু হলো নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগ। সরকারি এ রকম বিভাগ রয়েছে আর শুধু এসএসকেএমে।কিন্তু দু’টি জায়গাতেই পড়ে রয়েছে দামি যন্ত্র, কিন্তু নেই যন্ত্রী। তেজস্ক্রিয় ওষুধ এবং টেকনিশিয়ানের অভাবে কী করে পরিষেবা দেবে এই বিভাগটি, এসএসকেএমের মতো মেডিক্যাল নিয়েও তাই ইতিমধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে চিকিৎসকদের মনে।

    ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ছ’টি বিভাগ একযোগে কাজ করবে মেডিক্যালের ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারে। যেমন মেডিক্যাল অঙ্কোলজি, অঙ্কো-সার্জারি, অঙ্কো-প্যাথলজি, রেডিয়েশন অঙ্কোলজি, হেমাটো-অঙ্কোলজি ও নিউক্লিয়ার মেডিসিন। এর মধ্যে শেষের বিভাগটির কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

    কারণ, পরিকাঠামোর কারণেই ওই বিভাগে চিকিৎসার আসল কাজটি হয় না এসএসকেএমের মতো মেডিক্যালেও। হয় শুধু পঠনপাঠন। হাড়, থাইরয়েড-সহ বেশ কিছু ক্যান্সারের চিকিৎসা ও রোগনির্ণয়ে তেজস্ক্রিয় আয়োডিন-সহ রেডিয়ো-অ্যাক্টিভ যে সব ওষুধ জরুরি, সেগুলির সরবরাহও নেই এই বিভাগে। যে সব অত্যাধুনিক যন্ত্র রয়েছে, সেগুলি চালানোর লোকও নেই।

    কেন নেই? কারণ, মেডিক্যাল টেকনিশিয়ানের কোনও স্থায়ী পদে মঞ্জুরি নেই। রয়েছে চুক্তিভিত্তিক পদে। অথচ বেসরকারি ক্ষেত্রে বিপুল বেতন ও সুযোগ-সুবিধা পান এই টেকনিশিয়ানরা। ফলে স্বাভাবিক কারণেই সরকারি হাসপাতালে আসতে চান না তাঁরা। তাই অনেক চিকিৎসকই প্রশ্ন তুলছেন, সরকারি হাসপাতালে যখন নিউক্লিয়ার মেডিসিনের চিকিৎসাই হয় না, তখন সেই বিভাগটি রেখে লাভ কী?

    যদিও মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, আপাতত নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে যে রোগীরা আসছেন, তাঁরা বাইরে থেকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েই আনেন। এই বিভাগের চিকিৎসকেরা তার মূ্ল্যায়ন করেন। আগামী দিনে এখানেই মিলবে পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা।
  • Link to this news (এই সময়)