Trinamool Congress : ভোটের আগে ‘তফসিলি সংলাপ’ কর্মসূচি তৃণমূলের
এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
এই সময়: লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের তফসিলি জাতি ও উপজাতি জনতার মধ্যে বিশেষ জনসংযোগের কর্মসূচি গ্রহণ করল তৃণমূল। যার নাম দেওয়া হয়েছে, তফসিলি সংলাপ। নজরুল মঞ্চে মঙ্গলবার তৃণমূলের এসটি-এসটি সেলের নেতৃত্ব ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এই কর্মসূচির বিশদ ব্যাখ্যা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এই সভায় রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, সন্ধ্যারানি টুডু, সুশান্ত মাহাতো, শ্যামল মণ্ডল, মনোরঞ্জন ব্যাপারী, রত্না দে নাগ উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের ৮-১০ জন প্রতিনিধি এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি জমানায় সারা দেশে কী ভাবে তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ ‘নির্যাতিত’ হয়েছেন সেই বিষয়ে তৃণমূল নেতারা প্রচার চালাবেন।
কী ভাবে এই প্রচার শুরু হবে তার রূপরেখা ব্যাখ্যা করতে নজরুল মঞ্চে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই প্রচারের জন্য সুসজ্জিত ১৫০ টি গাড়ি ব্যবহার করবেন তৃণমূল নেতারা। রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভাতে এই প্রচার চালানো হবে। তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের ৩৫০০ নেতা-কর্মী এই বিশেষ প্রচার ও জনসংযোগ অভিযানে অংশ নেবেন।
প্রত্যেককে আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে অন্তত পাঁচটি রাত গ্রামে গিয়ে মানুষের সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘আগামী তিরিশ দিনের মধ্যে অন্তত পাঁচটি দিন কোনও গ্রামে গিয়ে সেখানের মানুষের সঙ্গে রাত কাটান। আমি সহযোগিতা করব।’
তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের লক্ষ্য এরকম প্রায় দেড় কোটি মানুষের কাছে যাওয়া। তফসিলি জাতি ও উপজাতি প্রভাবিত এলাকায় গিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীর নির্দিষ্ট প্রচার পুস্তিকা দেবেন। সেখানে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। আগামী ১৫ মার্চ থেকে এই প্রচার অভিযান শুরু করবে তৃণমূল।
এদিন অভিষেক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি তফসিলি জাতি ও উপজাতির মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলেছে। ২০১৯ সালে জঙ্গলমহলের চারটি লোকসভা আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছিল। কিন্তু এই লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে গত পাঁচ বছরে বিজেপি কোনও উন্নয়নের কাজ করেনি। উত্তরবঙ্গেও রাজবংশী, আদিবাসীদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু উত্তরবঙ্গেও এরা কোনও উন্নয়নের কাজ করেনি। তাই মানুষকে গিয়ে বোঝাতে হবে।’
বিজেপি কী চোখে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের দেখে তা নিয়ে প্রচারের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অংশের মানুষের জন্য কী কী প্রকল্প নিয়েছেন, তা নিয়েও প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। প্রচার পুস্তিকা ছাড়াও প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় ভিডিয়ো দেখিয়ে মানুষকে বোঝানোর পরামর্শ দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, ‘মানুষকে বোঝাতে হবে এটা প্রতিবাদের ভোট, প্রতিরোধের ভোট।’