Bangalore Incident : বেঙ্গালুরুর বহুতলের বন্ধ ঘরে পচা গন্ধ! দরজা খুলতেই উদ্ধার বাঙালি যুবতীর পচাগলা দেহ
এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
বেঙ্গালুরুর একটি বহুতল থেকে উদ্ধার হল এক যুবতীর পচাগলা দেহ। মহিলার পরিচয় এখনও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তাঁদের ধারণা ওই যুবতী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ওই ঘর থেকে মহিলার নগ্ন দেহ ছাড়াও ড্রাগস এবং সিরিঞ্জ পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। যার সঙ্গে ওই যুবতী থাকতেন সেই ব্যক্তি নিখোঁজ। এদিকে ওই বহুতলের মালিক জানিয়েছেন, বাবা এবং মেয়ের পরিচয় নিয়ে থাকতেন দুজনেই।
কোথায় উদ্ধার দেহ?
দক্ষিণপূর্ব বেঙ্গালুরুর চাঁদাপুরার হেডমাস্টারস লেআউট এলাকার একটি বহুতল থেকে বছর ২৫-এর ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ওই দেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সেখানের বাসিন্দারা এবং ওই ফ্ল্যাটটির প্রতিবেশী জানান যে, সেই ঘরটি তালাবন্ধ এবং তার থেকে পচা গন্ধ আসছে।তারপরেই সূর্যনগর থানার পুলিশ গিয়ে, দরজা ভেঙে দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, স্বপন কুমার নামে ওডিশার এক ব্যক্তি ওই ঘরটি ভাড়া নিয়েছিলেন। সেখানেই থাকতেন ওই যুবতী। তবে ওই ঘরে আর কাউকেই পাওয়া যায়নি।
আর কী পাওয়া গিয়েছে?
ব্যাঙ্গালুরুর পুলিশ সুপার মল্লিকার্জুন বালদান্ডি জানান, ওই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে মাদক এবং সিরিঞ্জ। এছাড়াও সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল সিগারেটের টুকরো এবং মদের বোতল। সেই সঙ্গে সেখানে ব্যাবহার না করা খাবারের প্যাকেটও পাওয়া গিয়েছে। এই সব কিছুই ঘরময় ছড়িয়ে ছিল।
কীভাবে মৃত্যু?
কীভাবে এবং কবে ওই মহিলার মৃত্যু হয় তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। খুন করার আগে ওই মহিলাকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলেও সন্দেহ পুলিশের।
সেখানের এক আধিকারিক বলেন, 'দেহটি এতটাই পচে গিয়েছে যে শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে কী না সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।' একই সঙ্গে স্বপন নামের ওই ব্যক্তি পলাতক। তাঁরও খোঁজ করা হচ্ছে।
কী জানিয়েছেন বাড়ির মালিক?
ওই বহুতলটি সঙ্গীতা গুপ্তা নামে একজন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের। তিনি থাকেন নিজের তলায়। বাকি তলার ঘরগুলি তিনি ভাড়ায় দিয়েছেন। তিনি জানান, গত বছর ডিসেম্বর মাসে স্বপন এসে চারতলায় ওই ঘরটি ভাড়া নেন এবং মাসের ভাড়াবাবদ ৯৮০০ টাকা দেওয়ার সঙ্গে আরও ৬০ হাজার টাকা ‘অ্যাডভান্স’ হিসাবে দেন। কিন্তু সেখানে আসেননি তিনি।
পরে, ফেব্রুয়ারি মাসে ওই মহিলা দেখতে পান সেই ঘরে বছর ৪০এর এক ব্যক্তির সঙ্গে যুবতী থাকছেন। স্বপন তাঁকে জানান যে তাঁরা বাবা-মেয়ে এবং তাঁদের তিনি চেনেন। দিন কয়েকের মধ্যেই তারা ঘরটি ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন স্বপন। তবে তাঁর পরিচয়পত্র ওই মহিলা নেননি বলেও জানিয়েছে পুলিশ।