SBI Electoral Bonds : ২২ হাজার কোটির বেশি বন্ড ভাঙিয়েছে দলগুলি! SBI-এর তথ্য কবে প্রকাশ্যে? দিন ঘোষণা কমিশনের
এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
নির্বাচনী বন্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা করল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ২১৭ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে। তার মধ্যে ২২ হাজার ৩০ কোটি টাকা ভাঙিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাকি যে ১৮৭টি বন্ড রয়েছে, সেটি ভাঙিয়ে অর্থ জমা পড়েছে প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে।বুধবার দেশের শীর্ষ আদালতে জমা করা হলফনামায় SBI উল্লেখ করেছে, নির্বাচনী বন্ড কেনার তারিখ, বিন্যাস, ক্রেতার নাম (রাজনৈতিক দল) এবং কবে তা ভাঙানো হয়েছে সেই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্যে রেকর্ড রয়েছে তাদের কাছে। ২০২৪ সালের ১২ মার্চ ব্যাঙ্কিং বিজনেস আওয়ার শেষ হওয়ার আগে এই রেকর্ডের তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। পাসওয়ার্ড প্রোটেকটেড ডিজিটাল ফরম্যাটে গোটা বিষয়টা তুলে ধরা হয়েছে SBI-এর পক্ষ থেকে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, নির্বাচনী বন্ড কেনার দিনক্ষণ, ক্রেতার নাম, বিন্যাস স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কবে এই নির্বাচনী বন্ড ভাঙানো হয়েছে, কোন কোন রাজনৈতিক দল এই বন্ড ভাঙিয়ে অর্থ গ্রহণ করেছে এবং তার সম্পূর্ণ বিন্যাসও জানিয়েছে SBI।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জারি করা একটি বিবৃতি অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ১১ মার্চ দেওয়া নির্দেশ মোতাবেক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ১২ মার্চ নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জমা করেছে। আগামী ১৫ মার্চ সেই তথ্য ইলেকশন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টে যে মুখবন্ধ খামে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য জমা পড়েছে, সেটিও সাধারণ মানুষের সামনে প্রকাশ্যে আনা হবে।
SBI-এর পক্ষ থেকে এই মামলা লড়ছেন আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি বলেন, 'নিয়ম মেনেই নির্বাচনী বন্ডের সমস্ত হিসেব রেখেছে SBI। আমার কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে কে নির্বাচনী বন্ড কিনেছেন, কোন দলকে কত টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে এবং কোন দল কত টাকা ভাঙিয়েছে।' তবে ১ মার্চ শুনানির সময় দেশের শীর্ষ আদালত SBI-এর আবেদনে সাড়া না দিয়ে ১২ মার্চের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড বিষয়ে সম্পূর্ণ বিবরণ জমা দেওয়ার নির্দেশ জমা দেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ মেনে কমিশনের হাতে সব তথ্য তুলে দিয়েছে SBI। সেই ধম খেয়েই সমস্ত তথ্য জমা করে ব্যাঙ্ক।