• আইএসএফ-গড়ে মেগা প্রচারে তৃণমূল-বিজেপি
    এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
  • এই সময়, ভাঙড়: ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের একমাত্র আসনটি এই ভাঙড়েই পেয়েছিল আইএসএফ। তারপর থেকে ভাঙড়কে নিজেদের গড় বলেই মানে আইএসএফ। সেখানে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়ল তৃণমূল-বিজেপি। মঙ্গলবার যেমন তৃণমূলের সায়নী ঘোষ ভাঙড়ে সভা করেছেন, তেমনই বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে কাশীপুরের গ্রামে গ্রামে প্রচারে দেখা গিয়েছে।বিধানসভায় হারলেও শেষ কয়েকটি লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ের পিছনে ছিল ভাঙড় থেকে পাওয়া বিপুল মার্জিন। যাদবপুরের সাতটি বিধানসভার মধ্যে টালিগঞ্জ, যাদবপুর, সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণ এবং বারুইপুর পূর্ব ও পশ্চিম মিলিয়ে যত লিড তৃণমূল পায়, তা একাই দিয়েছে ভাঙড়।

    তাই ভাঙড়কে পাখির চোখ করে মঙ্গলবার পোলেরহাট বাজারে র‍্যালি করলেন তৃণমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এ দিন তিনি পোলেরহাটের সভায় বক্তব্য রাখেন। তাঁকে ঘিরে রীতিমতো উৎসাহ দেখা যায় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। অন্য দিকে মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনি এ দিন সকালে কাশীপুর কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় জনসংযোগ করেন।

    মঙ্গলবার সকালে কাশীপুর কালীমন্দির থেকে সোজা জয়নগর গ্রামে যান তিনি। ডোর টু ডোর জনসংযোগে ব্যস্ত ছিলেন দিনভর। দুপুরে চণ্ডীহাট গ্রামে এক কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন। তারপর একে একে মঙ্গলপুর, কালিকাপুর, বামনঘাটা গ্রামে প্রচার সারেন অর্নিবাণ। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ভাঙড়ে বড় জনসভা করা যাবে না বলেই কি তিনি ডোর টু ডোর ক্যাম্পেনে জোর দিচ্ছেন?

    উত্তরে অনির্বাণ বলেন, ‘সব দলের নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি থাকে। আমরা চাইছি মানুষের কাছাকাছি গিয়ে তাঁদের সুখ দুঃখের কথা শুনতে।’ জিতলে বানতলা চর্মনগরীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে নজর দেবেন বলে জানান অনির্বাণ। সেই সঙ্গে ভাঙড়ের মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।

    এ দিন পোলেরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জনসভা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষও। এ দিন সায়নী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা। মঞ্চে সায়নী বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী ছিলেন। দিদি আমাকে বলেছেন বলেছেন আমার প্রায় ৩০-৩৫ বছর পরে তুমি রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী। আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর দিদি বলেছিলেন মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। কোনও ইগো রাখা চলবে না। আপনারা যতদিন আমার পাশে আছেন, ততদিন আমি নেতা। যখন আপনারা পাশে থাকবেন না, তখন আমি ন্যাতা হয়ে মাটিতে গড়াগড়ি দেব।’

    পাশাপাশি সায়নী বলেন, ‘আমি বারংবার ভাঙড়ে আসতে চাই। আমাকে সেই সুযোগ করে দিন। আমাকে আপনারা ক্যাচ করবেন, না ড্রপ করবেন সেটা আপনাদের বিবেচনা।’
  • Link to this news (এই সময়)