• ‘আমাদের বাঁচান…’, লকেটের বিরুদ্ধে ফের পোস্টার হুগলিতে! ‘চক্রান্ত’ দাবি BJP-র
    এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
  • ফের পোস্টার বিতর্ক হুগলিতে। হুগলি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ফের পোস্টার পড়ল। এর আগেও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে পোস্টার পড়তে দেখা গিয়েছিল। পোস্টারের নিচে লেখা রয়েছে বিজেপি মণ্ডল সভাপতি। তবে এটিকে সম্পূর্ণ ‘চক্রান্ত’ হিসেবেই দেখছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।হুগলি জেলার উত্তর চন্দননগরের তালডাঙা, সরিষাপাড়া, বোড়াইচন্ডিতলা, লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার এলাকায় খোলা চিঠি লিখে পোস্টার আকারে সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে লেখা বর্তমানে আমরা মণ্ডল সভাপতির দায়িত্বে কাজ করছি। এর আগেও বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করেছি। এমনকি নিজের বিধানসভায় ২০২১শে কাজ করেও সময় বার করে চুঁচুড়ায় গিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করেছি। ৫ বছর উনি নিজে আমাদের মণ্ডল প্রায় আসেননি, তাতে আমাদের কী দোষ? এখন উনি মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ে আমাদের ধমকি দিচ্ছেন, ভোটের পর দেখে নেব বলছেন।

    সেখানে লেখা হয়, আমরা জেলার একাধিক নেতৃত্বদের এবং রাজ্য থেকে এই জেলায় দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বদের জানিয়েছি। কেউ কোনো ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। ক্ষমা করবেন বাধ্য হয়ে খোলা চিঠি লিখলাম। আমরা মন্ডল সভাপতিরা এবং তা প্রকাশ করলাম। ক্ষমা করবেন মোদীজি। এই পোস্টারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। লকেট চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘এটা কিছুই না, তৃণমূল আমাদের ভয়ে পেয়েছে। আমাদের মণ্ডল সভাপতিদের নাম লিখে এসব পোস্টার লিখছে। এতে কিছু যায় আসবে না।’

    উল্লেখ্য, লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ক্ষোভ এই প্রথম নয়। এর আগেও তার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। যতবার পোস্টার পড়েছে ততবারই লকেট দাবি করেছেন, এসব তৃনমূলের কাজ। তবে বিজেপি সূত্রের খবর, প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই নিচুতলার নেতা কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। লকেটের কর্মসূচীতে দেখা যাচ্ছে না অনেক মণ্ডল সভাপতিকে। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অসিত মজুমদার বলেন, ‘লকেটকে ভাবি না। আমাদের লড়াই মোদীর সঙ্গে। ওদের মণ্ডলের লোকেরা এসব করাচ্ছে। বিজেপির ছেলেরা ওকে চাইছে না।'

    তবে চন্দননগরে পোস্টার বিজেপি মণ্ডল সভাপতিরা মারেননি বলে দাবি তাঁদের। বিজেপির চন্দননগর মণ্ডল ১ এর সভাপতি গোপাল চৌবে বলেন, ‘তিন মণ্ডল সভাপতি নাম করে পোস্টার করেছে যে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আমরা চাইনা, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার। তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত ভয় পেয়ে গিয়েছে।’ তাঁর কথায়, চন্দননগর বিধানসভা থেকে আমরা তিন মণ্ডল সভাপতি ৫০ হাজার ভোটে লিড দেব। গতবার যে ভোটে জিতেছিলেন তার থেকে বেশি ভোটে জিতে দিল্লিতে পাঠাব, এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।
  • Link to this news (এই সময়)