Trinamool Congress : নির্ভেজাল মুখে কি কোন্দল কমবে? ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে
এই সময় | ১৩ মার্চ ২০২৪
এই সময়, কোচবিহার: রক্তের সম্পর্ক না হলেও কোচবিহারের রাজনীতিতে কাকা-ভাইপোর বিবাদ নতুন নয়। তাঁদের সাপে-নেউলে সম্পর্ক কারও অজানা নয়। আদতে কাকা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, প্রাক্তন মন্ত্রী। ভাইপো পার্থপ্রতিম রায়, প্রাক্তন সাংসদ৷ দলের কোন্দল এড়াতে ‘নির্ভেজাল’ মুখ জগদীশ বসুনিয়াকে তাই দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল।আজ বুধবার মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট প্রচার শুরু করবেন তিনি। মন্ত্রী উদয়ন গুহ, প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঘনিষ্ঠ জগদীশ৷ জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের সঙ্গেও তাঁর ভালো সম্পর্ক। দলের অন্দরে প্রশ্ন একটাই, ‘অভিমানী’ প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম কি বসুনিয়ার হয়ে ভোট প্রচারে নামবেন?
প্রাক্তন সাংসদের জবাব, ‘অভিমানের কোনও ব্যাপার নেই। দল যাঁকে প্রার্থী করেছে তাঁর হয়ে দলের নির্দেশ মেনে প্রচারে নামব।’ নাম বাদ পড়ায় কোনও কষ্ট হচ্ছে না? পার্থপ্রতিম অবশ্য এ ব্যাপারে স্পিকটি নট। বরং তিনি বিন্দাস আছেন বোঝাতে দিনে তিন-চারবার প্রোফাইলের ছবি বদলে চলেছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠরা একধাপ এগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
তাঁদের ব্যথায় মলম দিতে মাঠে নেমেছেন উদয়ন। পার্থপ্রতিম ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মী লিখেছেন, ‘ছুড়ে ফেলা হলো।’ সেই পোস্টে উদয়নের পাল্টা কমেন্ট, ‘তোমরা কি মনে করো দল যার যার পছন্দ মতো সব কিছু করবে?’ সোমবার রাতে অবশ্য খোঁচাটা দিয়েছেন সরাসরি।
উদয়ন লিখেছেন, ‘যদি নিজের ভালো চান তাহলে দলের কাউকেই শত্রু বলে মনে করবেন না।’ ইঙ্গিতটা যে পার্থপ্রতিমের দিকে সেটা কারও অজানা নয়। উদয়ন বলেন, ‘এক আসনে তো সবাইকে প্রার্থী করা সম্ভব নয়। দল মনে করেছে তাই জগদীশ বসুনিয়াকে প্রার্থী করেছে৷’
জগদীশ প্রার্থী হওয়ায় রবীন্দ্রনাথ যতটা না খুশি, তার চেয়ে বেশি খুশি ‘ভাইপো’র নাম বাদ পড়ায়। প্রার্থী ঘোষণার পরে জগদীশ ও উদয়ন ঘনিষ্ঠরা সবুজ আবির মেখেছেন। জেলা পার্টি অফিসে মিষ্টিমুখ করেছেন রবীন্দ্রনাথ-অভিজিৎ ঘনিষ্ঠরা। উচ্ছ্বাস ছিল না শুধু কোচবিহার শহরের মন্দার মোড়ে পার্থপ্রতিমের বাড়ির সামনে।
প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘জগদীশকে কোচবিহার লোকসভা আসনের জন্য দল বেছে নেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। তবে কেউ যদি টিকিট না পায়, অভিমান করা উচিত নয়। সবাইকে একজোট হয়ে থাকতে হবে।’ জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকও জানিয়েছেন, সকলের লক্ষ্য বিজেপি প্রার্থীকে হারানো।
দলের অসন্তোষ মিটিয়ে মাঠে নামতে যখন ব্যস্ত তৃণমূল, তখন আগেভাগেই জনসম্পর্ক যাত্রাকে সামনে রেখে বিধানসভা ধরে ধরে ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তাঁর বক্তব্য, ‘এ বার আরও বেশি ভোটে হারাব তৃণমূলকে।’