CAA প্রসঙ্গে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর নাম শোনা গেল শান্তনু ঠাকুরের কণ্ঠে। সিএএ আন্দোলনের ভাগীদার মুকুটমণি অধিকারী, তা অস্বীকার করার জো নেই বলেও তাঁর মন্তব্য। রানাঘাট জেলা মতুয়া মহা সংঘের পদ থেকে মুকুটমণি অধিকারীকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন , তাঁর মেয়াদকাল সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে । গত পাঁচ বছর তার প্রদর্শ অত্যন্ত ভালো ছিল। মেয়াদকাল শেষ হয়ে গিয়েছে বলে সরানো হয়েছে। সেখানে নতুন করে এখনও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সভায় তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন রানাঘাট কেন্দ্রের মতুয়া মুখ মুকুটমণি অধিকারী। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে হয়তো তাঁকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল। গত রবিবার তাঁকেই প্রার্থী ঘোষণা করা হয় তৃণমূলের তরফে। বিজেপির তরুণ এই বিধায়ক তৃণমূলে চলে যাওয়ায় কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে বঙ্গ বিজেপি।
উল্লেখ্য, একসময় মুকুটমণি অধিকারী শান্তনু ঠাকুর ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। CAA লাগু হওয়ার পর মুকুটমণি অধিকারী বলেছিলেন, 'আমরা দীর্ঘ ২৫ বছর লড়াই করেছি নাগরিকত্বের জন্য। যে CAA গতকাল লাগু করা হয়েছে তাতে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের জন্য অনেক অন্তরায় রয়েছে।'
এদিকে মুকুটমণির CAA নিয়ে প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া মুখ শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘বহু লড়াই করেছেন মুকুটমণি আমাদের সঙ্গে। CAA নিয়ে আমার এবং মুকুটমণির যে ভাগিদারি ছিল তা তো ও ভুলতে পারবে না। ফেসবুকে চিত্রপটে আঙা সেটা। ও কী কারণে তৃণমূলে গিয়েছে তা তো সকলের জানা। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলব না।’
'জগাসুরকে বধ করে নদিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনব' আশ্বাস মুকুটমণি অধিকারীর
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মুকুটমণিকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, সেই সময় সেখানে একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। তাঁর ইস্তফা গৃহীত না হওয়ায় তিনি প্রার্থী হতে পারেননি এবং বিজেপি জগন্নাথ সরকারকে প্রার্থী করেছিলেন। নির্বাচনে জয়ী হন জগন্নাথ।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির বার করা প্রথম লিস্টে নাম ছিল জগন্নাথের। রানাঘাটে তাঁর উপরেই ভরসা রাখে দল। এরপর থেকেই উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল মুকুটমণির কণ্ঠে। পরবর্তীতে তিনি যোগদান করেন তৃণমূলে এবং তাঁকে প্রার্থী করে রাজ্যের শাসক দল।