নদীর নীচে মেট্রোই 'ভোট ম্যাগনেট'! বাংলার ৬ কেন্দ্রে সুবিধা বিজেপির?
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো পথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী শুক্রবার এই পরিষেবা খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের জন্য। এর ফলে কলকাতা ও হাওড়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও দুই মেদিনীপুরের মানুষ হাওড়া স্টেশনে নেমে খুব সহজেই মেট্রো পথে পৌঁছে যেতে পারবেন কলকাতায়। যা আদতে মানুষের সময়ই শুধু বাঁচাবে না, হয়রানিও কমাবে।ভোটের আগেই এই উদ্বোধন। সেক্ষেত্রে আসন্ন নির্বাচনে এর সুফল বিজেপি পাবে কি না, সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিকমহলের একাংশে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, আরামবাগ ও বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বহু মানুষ প্রায় প্রতিদিনই পেশাগত তাগিদে বা অন্যকোনও প্রয়োজনে হাওড়া স্টেশনে আসেন। একইভাবে দুই মেদিনীপুরের একাধিক লোকসভা কেন্দ্রের মানুষেরও যাতায়াত লেগেই থাকে এই রুটে। তাঁরা প্রত্যেকেই হাওড়া স্টেশন থেকে বাসে, ট্যাক্সিতে বা ফেরি পরিষেবার মাধ্যমে পৌঁছন কলকাতায়।
এক্ষেত্রে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'আজকের রাজনীতি হচ্ছে উন্নয়ন, আজকের ধর্ম হচ্ছে গণতন্ত্র, এটাই বিজেপি লক্ষ্য। হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, বর্ধমানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ এতে সুবিধা পাবে। আমরা সবকিছু ভোট দিয়ে চিন্তা করি না। উন্নয়ন তো মানুষ দেখছে, মানুষ তো ভোটে দেবেই। উন্নয়ন দেখেই মানুষ ভোট দেয়।'
যদিও তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'এসব এক একটা ন্যারেটিভ বিজেপি তৈরি করছে। কার টাকায় তৈরি হচ্ছে? মানুষের টাকায়। আইডিয়াটা কখন হয়েছিল? আইডিয়া হয়েছিল যখন বিজেপি সরকারে আসেনি। তখন রেলমন্ত্রী কে ছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে নানা বাধা বিপত্তিতে এড়িয়ে তারপর এই প্রকল্প হয়েছে। যখন শেষ হল, তখন প্রধামন্ত্রী উদ্বোধন করলেন, তার মানে তাঁরাই সমস্ত কৃতিত্বের দাবিদার, এইরকম ছেলেমানুষি রাজনীতি যাঁরা করেন তাঁরাই বোকা বনে যায়।' এক্ষেত্রে এই মেট্রো প্রকল্পের জন্য বিজেপি বাড়তি কোনও সুবিধা পেতে পারে, এমনটা মানতে একেবারেই রাজি নন জয়প্রকাশ মজুমদার।
অন্যদিকে এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক শিবাজীপ্রতীম বসু বলেন, 'একটা সেতু করে দিয়ে বা একটা রাস্তার সুবিধা করে দিয়ে ভোটে তার সরাসরি প্রভাব পড়ে না, ভাবমূর্তিতে প্রভাব পড়ে। একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।' তবে গোটা বিষয়টি যে আরও অনেকগুলি ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে, সেটাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি। সেক্ষেত্রে এখন দেখার বাস্তবেই ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়ে কি না।