International Politics : বুড়ো হাড়ে ভেলকি! প্রবীণদের হাতেই রাষ্ট্রের ক্ষমতা, মোদী ছাড়া তালিকায় আর কারা?
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
তারুণ্যের জয়গান নয়, এখানে প্রাধান্য বয়স্কদেরই। রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রাধান্য প্রবীণদেরই। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্ষমতায় আছেন বয়স্করাই। যারা এখন ক্ষমতায় তাঁদের বেশিরভাগেরই বয়স ৭০-এর বেশি।
বাড়ছে নেতাদের বয়স
মাত্র দশ বছর আগে বিশ্বের ১০টি জনবহুল দেশের মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ ছিল যা ৭০ বছরের বেশি বয়সী একজন নেতা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। মনমোহন সিং ২০১৪ সালে যখন প্রধানমন্ত্রীত্বর মেয়াদ শেষ করেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৮১ বছর। সেই সময়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ছিলেন ৫২বছর বয়সী। চিনের শি জিনপিং এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের বয়স ছিল প্রায় ৬০ বছর।তবে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নেতাদের বয়স উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এখন দশটি সর্বাধিক জনবহুল দেশের সব প্রধানের বয়স ৭০ বছরের বেশি। ভারত, চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, পর্তুগাল সহ একাধিক দেশের প্রধানের বয়স ৭০-এর বেশি। আবার জিম্বাবোয়ে, আয়ারল্যান্ড, ইরান, ফিলিপিন্সসহ বিভিন্ন দেশের দেশের প্রধানের বয়স ৮০-এর বেশি।
তরুণ রাষ্ট্রপ্রধানরা কেন কমছে?
বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রধানদের বয়স হয়েছে, এর কারণ কী? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষমতার করিডোরে বার্ধক্যের একটি কারণ হতে পারে একনায়কদের উত্থান। চিনে শি জিনপিং ঐতিহ্য ভেঙ্গে ২০২২ সালে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসাবে তাঁর তৃতীয় মেয়াদ শুরু করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৬৯ বছর। ৪৭ বছর বয়সে রাশিয়ার প্রধান হন পুতিন। ২৫ বছর পরেও তিনি ক্ষমতায় রয়েছেন।
বয়স্ক নেতারা কেন ক্ষমতায়?
আমেরিকায় দ্বি-দলীয় শাসন ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত তরুণ নেতারা রিপাবলিকান বা ডেমোক্র্যাট দলে যোগ দেন। কিন্তু দলের শীর্ষে উঠতে সময় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে অল্প বয়সে দেশে ক্ষমতায় পৌঁছানো কঠিন। অন্যান্য দেশেও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞ ও বয়স্ক রাজনীতিবিদদের পক্ষে তরুণ নেতাদের চেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ। নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহকারীদের সঙ্গেও এই নেতাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।
তরুণ নেতাদের হাতে ক্ষমতা
তবে এর কিছু ব্যতিক্রম আছে। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ যুব নেতা হিসাবে তাঁর নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং 39 বছর বয়সে তিনি ফ্রান্সের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হন। এখন তিনি ৩৪ বছর বয়সী গ্যাব্রিয়েল আটালকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী করেছেন। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বয়স মাত্র ৪৩ বছর। যখন জর্জিয়া মেলোনি ইতালির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৪৫ বছর। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বয়স ৪৬ বছর।
ভারতে বয়স্ক নেতাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতই ভারতেও নেতাদের বয়স বাড়ছে। স্বাধীন ভারতের প্রথম লোকসভায় সংসদ সদস্যদের গড় বয়স ছিল ৫০ বছরেরও কম। ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সালে এই গড় ৫০ বছর অতিক্রম করেছিল। আর ১৬তম লোকসভার সাংসদের গড় বয়স ছিল ৫৫.৬ বছর।