CAA : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লোকসভা ভোটে প্রভাব ফেলবে? জনমত সমীক্ষায় বড় ইঙ্গিত
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
অবশেষে দেশজুড়ে কার্যকর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে CAA বিধি লাগুর ঘোষণা করা হয়েছে। লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক কারবারিরা। এই আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হয়ে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি এবং খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।CAA বিধি কার্যকর হওয়ার পর থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এর মাঝেই এবার জনমত সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করল TV-CNX। লোকসভা ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে এই CAA?
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৭২ শতাংশের মতে CAA বিভাজনের রাজনীতি তৈরি করবে। ২ শতাংশ মনে করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর আস্থা বাড়বে মুসলিমদের। ২০ শতাংশ মানুষ মনে করছে এর কোনও প্রভাব লোকসভা ভোটে পড়বে না। ৬ শতাংশ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
TV-CNX জনমত সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬২ শতাংশ মনে করছেন CAA কার্যকর করার পদক্ষেপ BJP-কে লোকসভা ভোটে ব্যাপক ফায়দা করে দেবে। এদিকে, ২৪ শতাংশ মনে করছে গেরুয়া শিবিরে এর প্রভাব হবে নেতিবাচক। ১৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের কোনও প্রভাব লোকসভায় পড়বে না।
এই সার্ভে মোকাবেক, ৬৫ শতাংশ মুসলিম মনে করছেন CAA কার্যকর হলে তাঁদের বিপদ বাড়তে পারে। ২ শতাংশ মুসলিমের মতে তাঁরা এ দেশে নিরাপদ আর ৩৩ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বীর কথায় এই আইনের প্রভাব সম্পর্কে তাঁরা অবগত নন।
TV-CNX ওপিনিয়ন পোল অনুযায়ী, ৩৫ শতাংশ হিন্দু মনে করছেন CAA-র নেতিবাচক প্রভাব পড়বে লোকসভা ভোটে। তাঁদের মতে বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরেই দেশের মুসলিমরা মনে করছেন CAA তাঁদের জন্য ক্ষতিকারক। আবার ২১ শতাংশ হিন্দু নাগরিকের মতে মৌলানাদের মন্তব্যের জেরে তৈরি হওয়া বিতর্ক মুসলিমদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করছে। ৩২ শতাংশ হিন্দু ভোটার CAA কার্যকর করার পিছনে সরকারের স্বার্থ রয়েছে বলে মনে করছেন। অন্যদিকে, ১২ শতাংশ হিন্দু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
উল্লেখ্য, এই ধরণের ওপিনিয়ন পোল একটি ইঙ্গিত মাত্র। এর সঙ্গে বাস্তবের মিল নাও থাকতে পারে। লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এর চূড়ান্ত ফলাফলের সঙ্গে এই সমীক্ষা রিপোর্টের ফারাক থাকা অস্বাভাবিক নয়।