টেকির কাজ কাড়বে যন্ত্র? বাজারে এল এআই-মেড ইঞ্জিনিয়ারও
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
ওয়াশিংটন: এই মুহূর্তে বাজারে সবচেয়ে ‘সেফ’ চাকরি নাকি এআই ইঞ্জিনিয়ারদের! মানে, যাঁরা মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম, ডিপ লার্নিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এআই মডেল, চ্যাটবট ইত্যাদি তৈরি করেন। তারপর সেই মেডেলের ডেভেলপমেন্ট, প্রচার ও প্রসারের কাজটাও বাকিদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে হয় তাঁদের। কিন্তু এই কাজটাও যদি যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা করে দেয়? মানে এআই দিয়েই যদি এআই মডেল-সফ্টওয়্যার তৈরি করে ফেলা যায়!তা হলে ‘সেফ’ চাকরিটা কোথায়? এমনই নানাবিধ প্রশ্ন, জল্পনা উস্কে দিয়ে বোমা ফাটাল আমেরিকান প্রযুক্তি সংস্থা ‘কগনিশন’। তাদের দাবি, বিশ্বের প্রথম ‘এআই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’ তৈরি করে ফেলেছে তারা। নাম তার— ডেভিন। যন্ত্র এসে ক্লাসে পড়িয়ে চলে যাচ্ছে— কেরালার একটি স্কুলে ভারতের প্রথম এআই শিক্ষকের দেখা মিলেছিল গত সপ্তাহেই।এই যেমন, বাজারে আচমকা এন্ট্রি নিল ‘ডেভিন’। সে আদতে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারই। কিন্তু মানুষ নয়।
একজন দুঁদে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার (মানুষ) যা যা করতে পারে, না-মানুষ ডেভিনও নাকি তার সবই নিমেষে সেরে ফেলে। সে নাকি এতটাই স্মার্ট যে, এক প্রম্পটেই সে নির্ভুল কোড লিখে দিতে পারে। কোডের ‘বাগ’ ধরতে পারে। চোখের পলক ফেলার আগে বানিয়ে নিতে পারে আস্ত একখানা ওয়েবসাইট কিংবা জটিল কোনও সফ্টওয়্যার। আর নতুন কোনও প্রযুক্তি আয়ত্ত করা তো তার বাঁ হাতের খেল!
এমন ‘মাল’ বাজারে চলে এলে তা হলে আর মানুষের দরকার কী? ডেভিন-নির্মাতা ‘কগনিশন’-এর অবশ্য দাবি, এই এআই টুলের উদ্দেশ্য হিউম্যান ওয়ার্কফোর্সকে প্রতিস্থাপন কর নয়। বরং, তাদের সঙ্গে হাতে-হাত মিলিয়ে কাজ করার জন্যই ডেভিনকে তৈরি করা হয়েছে। তবে ডেভিনের যা পারফরম্যান্স, তা দেখে নাকি বহু নামজাজা সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারেরই ঘুম উড়ে যেতে পারে। আশঙ্কা অমূলক নয়।
কারণ, ডেভিন নাকি ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নামজাদা এআই কোম্পানির ইন্টারভিউ ক্র্যাক করে ফেলেছে। কগনিশনের বক্তব্য, ডেভিনের প্লাস পয়েন্ট অবশ্যই চিন্তাশক্তি। যে কোনও প্রবলেম সলভ করতে সে নাকি ম্যান-মেড এআইয়ের থেকে অনেক আগে থট প্রসেস শুরু করে দেয়। তারপরেই চটজলদি ডিসিশন। এমনকী, নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সংশোধনেও তার জুড়ি মেলা ভার বলে দাবি আমেরিকান কোম্পানিটির।