এই সময়: আলিপুরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জেলাশাসকের অফিসে লিফট-বিভ্রাটে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন এক যুবক। বুধবার ব্যক্তিগত কাজে ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে গিয়েছিলেন চম্পাহাটির সাহাবুদ্দিন মোল্লা নামে বছর চুয়াল্লিশের যুবক। ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ১টা। একতলা থেকে লিফটে ছ’তলায় যাচ্ছিলেন তিনি।ছ’তলায় পৌঁছনোর পর লিফটের দরজা খুললে তিনি বাইরে পা বাড়ানোর পরেই লিফটটি খানিক নীচে নেমে যায়। সাহাবুদ্দিনের পুরো শরীর লিফটের বাইরে থাকলেও তাঁর ডান পা লিফটের ভিতরে আটকে পড়ে। সাহাবুদ্দিনের পাশাপাশি লিফটে আরও জনা দশেক মানুষ ছিলেন। তাঁরাও পাঁচতলা এবং ছ’তলার মধ্যে লিফটের মধ্যে আটকে পড়েন। আতঙ্ক ছড়ায় ওই অফিসে।
খবর পেয়ে পৌঁছন দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। প্রায় দু’ঘণ্টা পরে লিফটের ভিতরে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়। লিফটের পাঁচতলার দরজা দিয়ে বাইরে বের করে আনা হয় তাঁদের। এরও কিছুক্ষণ পরে ছ’তলায় লিফটের রেলিং কেটে সাহাবুদ্দিনকে উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। দমকলের এক কর্মী বলেন, ‘উনি বেশ সাহসী। শুরু থেকে বাইরে বের করে আনা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। ওই অবস্থাতেও আমাদের কথামতো জল খেয়েছেন।’ ওই লিফটে আটকে পড়া এক জন বলেন, ‘আমরা ওই ব্যক্তির পা তুলে দাঁড়িয়েছিলাম। না হলে পা কেটে গিয়ে বড় বিপদ ঘটতে পারত।’
কাজের সূত্রে আলিপুরের ওই অফিসে নিত্য যাতায়াত করা লোকজনের অভিযোগ, ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অফিসের লিফট ঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় না। কোনও লিফটম্যান থাকেন না। নজরদারি না থাকায় ক্ষমতার থেকে বেশি লোক লিফটে উঠে পড়েন রোজই।
সে কারণে মাঝেমধ্যেই ঘটে বিপত্তি। এ দিনও লিফটের আপৎকালীন সুইচ কাজ করেনি বলে অভিযোগ। জেলাশাসকের অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, লিফটের যে সমস্যাগুলি রয়েছে, তা তাড়াতাড়ি মেরামত করা হবে। এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেন জেলাশাসক।