চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় পদক্ষেপ রাজ্যের, প্রায় ডাবল অবসরকালীন অনুদান
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য সুখবর। তাঁদের জন্য বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। এবার রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের অবসরকালীন ভাতা বৃদ্ধি করা হল। সরকারের বিভিন্ন দফতর তথা প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের অবসরকালীন এককালীন অনুদান বাড়িয়ে করা হল পাঁচ লাখ। বুধবার এই সংক্রান্ত এক নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্যের অর্থদফতর। সেই নির্দেশিকায় জানান হয়েছে, এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে এই বর্ধিত অনুদান কার্যকর হবে।উল্লেখ্য, বর্তমানে অবসরের সময় এককালীন দুই থেকে তিন লাখ টাকা অনুদান পান চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। নতুন এই নির্দেশিকা অনুসারে সেই অনুদান প্রায় দ্বিগুণ হল। এর ফলে চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত প্রায় পাঁচ লাখ কর্মী উপকৃত হবেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটে সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, গ্রিন পুলিশ সহ চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা করার ঘোষণা করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে অর্থদফতর যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, সেখানে কোন শ্রেণির কর্মীরা এই সুবিধা পাবেন তা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানা গিয়েছে।
অনুদান বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি
এছাড়াও পার্শ্বশিক্ষক, এসএসকে - এমএসকে শিক্ষক, আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা, অনারারি স্বাস্থ্যকর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ ভলান্টিয়ার, অক্সিলিয়ারি দমকলকর্মীদের মতো কর্মীদেরও এই সুবিধা প্রদান করা হবে। চুক্তিভিত্তিক ওই কর্মীরা সাধারণত কেউ ৬০, কেউ আবার ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করেন। এতদিন সাধারণ কর্মী ও তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা অবসরের সময় তিন লাখ টাকা পেতেন। তবে নির্দেশিকা অনুসারে এবার সেই পরিমাণ বেড়ে হচ্ছে পাঁচ লাখ। এছাড়াও এমন কিছু কর্মী আছেন, যাঁদের অনুদান ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ করা হল।
প্রসঙ্গত, ৬০ থেকে ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির নিরাপত্তা, ছুটি, নির্দিষ্ট হারে বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাজ্য সরকার আগেই করেছে। কিছুদিন আগে আশা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা বৃদ্ধির ঘোষণাও করা হয়। ররাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, এবারের বাজেটে কার্যত কল্পতরুর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারকে। আর তারপরেই ভোটের আগে এই ধরনের একের পর এক পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।