Teacher Recruitment Scam : বেআইনি চাকরি-প্রাপকদের কি রাখা উচিত? পাল্টা প্রশ্ন কোর্টের
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
এই সময়: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসির মামলার দীর্ঘ শুনানির প্রায় শেষ দিকে এসে বুধবার হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে জল্পনা তৈরি হলো। এ দিন শুনানির শেষ দিকে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ-দুর্নীতি প্রমাণিত হলে বাতিল করা হতে পারে পুরো নিয়োগই। বাতিল করা যেতে পারে নিয়োগের অংশ বিশেষও।আদালতের বক্তব্য, ‘এই দু’টি বিকল্পই এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে রয়েছে’। অবশ্য আদালত পরক্ষণেই জানায়, এখনও অনেক কিছু খতিয়ে দেখা বাকি। আদালতের বক্তব্য, সবটা অবৈধ হলে পরিণতি যা হওয়ার তাই হবে। বিতর্কিত চাকরি-প্রাপকদের উদ্দেশে আদালতের প্রশ্ন, পিছনের দরজা দিয়ে চাকরি পেলে কী করা উচিত?
৫-১০ হাজার ব্যক্তির ভবিষ্যতের থেকে দেশের ভবিষ্যৎ বেশি গুরত্বপূর্ণ। এসএসসিকে আদালতের খোঁচা, পদ ভরাতে হবে বলে অযোগ্যদের নিয়োগ কেন? প্রায় ১৯ দিন শুনানি হয়েছে। আগামী শুক্রবারের মধ্যে এই মামলার শুনানি শেষ করতে চায় বলেও জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
এ দিনের শুনানিতে এসএসসি’র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিতর্কিত চাকরি-প্রাপকরা। তাতে বিচারপতি বসাকের মন্তব্য, এসএসসিকে বিশ্বাস করতে না পারলে তো গোটা নিয়োগই বাতিল করা উচিত। আদালত মনে করিয়ে দেয়, একটা পচা আপেল গোটা ঝুড়ির আপেলকে নষ্ট করে। বিতর্কিত চাকরি-প্রাপকদের যুক্তি, সেই পচা আপেল খুঁজে বের করুন। বিচারপতির প্রশ্ন, সেটা কি সম্ভব?
বিতর্কিত চাকরি-প্রাপকদের আইনজীবীর দাবি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে আদালতে সব কথা বলা হচ্ছে না। এসএসসির কারা কারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, সেটা প্রকাশ্যে আনা হোক। টেন্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া এসএসসি দপ্তরেই হয়েছিল। এখন তারা বলছে যে তারা সিবিআইয়ের রিপোর্টে নাম থাকা ডেটা স্ক্যানটেক সংস্থার নামই জানে না।
এটা সম্ভব? আদালতের পাল্টা যুক্তি, যদি এসএসসিকে বিশ্বাস না করা যায় তা হলে গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া উচিত।আইনজীবীর প্রতি আদালতের বক্তব্য, ‘আপনি ঘটনাক্রম দেখুন। একটা পরীক্ষা নেওয়া হলো, মূল্যায়নের জন্যে একটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হলো, তারা আবার অন্য কাউকে নিয়োগ করল। সবটাই এসএসসির চোখের সামনে হয়েছে, কিন্তু তারা বলছে কিছু জানে না। তা হলে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কি কোনও স্বচ্ছতা থাকল? বিতর্কিত চাকরি-প্রাপক এবং তাঁদের পরিবারের ১০ হাজার লোকের কথা বলা হচ্ছে। যে ২৩ লাখ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের কথা ভাবতে হবে তো।’
বিতর্কিত চাকরি-প্রাপকদের আইনজীবীর সওয়াল, যাঁরা পাঁচ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছেন, তাঁদের কী হবে? বিচারপতি বসাকের জবাব, যদি সবটা অবৈধ বা বেআইনি হয়, তা হলে যা পরিণতি হওয়ার সেটাই হবে।