CAA Amit Shah: লোকসভা ভোটের মুখে কেন CAA? টাইমিং নিয়ে মুখ খুললেন অমিত শাহ
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
সোমবার, ১১ মার্চ থেকে দেশে কার্যকর হয়েছে সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। মঙ্গলবার থেকে নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করা যাচ্ছে সরকারি পোর্টালে। তবে সিএএ কার্যকর হতেই বিরোধীরা ফুঁসে উঠেছেন। সিএএ বিরোধিতায় লাগাতার সুর চড়াচ্ছেন তাঁরা। বিরোধীদের মতে সিএএ হল বৈষম্যমূলক আইন। তাঁদের মতে, সিএএ-এর সঙ্গে পরে এনআরসিও জুড়ে দেওয়া যাবে। আর এতেই নাগরিকত্ব হারাবেন বহু মানুষ। তাঁদের ঠাই হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। তবে কেন্দ্রের তরফে বারংবার দাবি করা হচ্ছে সিএএ এবং এনআরসি এক নয়। সিএএ বিরোধিতায় আওয়াজ তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর দাবি, তিনি সিএএ-এর মাধ্যমে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। এবার বিরোধীদের সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীদের আক্রমণের পাশাপাশি কড়া নিশানা করেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে।কেন লোকসভা ভোটের আগে সারা দেশে কার্যকর হল সিএএ?
সাক্ষাৎকারের প্রথম প্রশ্নে সিএএ কার্যকর হয় টাইমিং নিয়ে মুখ খুললেন শাহ। বলেন, 'কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তৃণমূলের মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় সহ বিরোধীতা সিএএ ইস্য়ুতে মিথ্যা রাজনীতি করছেন। ২০১৯ সালেই ভারতীয় জনতা পার্টি ইস্তেহারে ক্ষমতায় ফিরলে সিএএ কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করেছিল। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালেই বিল পাশ হয়ে যায়। তারপর তা কার্যকর হতে দেরি হয় কোভিড মহামারীর কারণে। সরকারের এই বিল ভোটের অনেক আগেই পাশ হয়েছে। আমি এর আগেও একাধিকবার বলেছি সিএএ দেশে কার্যকর ভোটের আগেই। এখন আলাদা করে কি করে প্রশ্ন উঠছে সিএএ কার্যকর হওয়ার সময় নিয়ে? সিএএ ভারতীয় জনতার পার্টির জন্য রাজনীতির বিষয় নয়। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তাই এখানে সময়ের প্রশ্ন অকারণেই তোলা হচ্ছে।'
মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিশানা করে ঠিক কী বললেন শাহ?
এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, 'সিএএ ইস্যুতে বিরোধীরা মিথ্যে রাজনীতি করছেন। পশ্চিমবঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নেই। বিজেপি ক্ষমতায় এসে বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে।' মমতাকে নিশানা করে শাহ বলেন, 'আপনি যদি এই ধরনের রাজনীতি করেন এবং জাতীয় নিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তুষ্টির রাজনীতি করে অনুপ্রবেশের অনুমতি দেন ও বিরোধিতা করেন তবে শরণার্থীরা নাগরিকত্ব না পেলে মানুষ আপনার সঙ্গে থাকবে না। আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তি আর অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে পার্থক্য জানেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের সঙ্গে অবিচার করবেন না। দেশের সুরক্ষা নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে হাতজোড় করে বলছি দয়া করে রাজনীতি করবেন না। বাংলায় লাগাতার অনুপ্রবেশ হচ্ছে।'
'সিএএ ফিরিয়ে নেওয়া হবে না'
' সিএএ ফিরিয়ে নেওয়া হবে না, হুঙ্কার অমিত শাহ। 'সিএএ-এর সঙ্গে এনআরসির কোনও যোগ নেই। সিএএ-কে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও সংস্থান নেই। এই আইনে একটি ধারা দেখানে যেখানে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদের চেষ্টা করছেন। কোনও রাজ্য সরকার সিএএ আটকাতে পারবে না।'
বুধবার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় দাবি করেছেন, 'সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র সম্পর্ক রয়েছে।' সেই সঙ্গে তিনি আবারও স্পষ্ট করে বলেছেন, 'বর্ণবৈষম্যের সিএএ আমি মানি না।' যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, 'সিএএ এবং এনআরসি সম্পূর্ণ আলাদা। দু'টি বিষয়ের মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই। মমতার দাবি, 'সিএএ নিয়ে যে রুলসবার করা হয়েছে তাতে কোনও স্বচ্ছতা নেই।'