ফের সন্দেশখালিতে ED তল্লাশি। জানা গিয়েছে, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একটি মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছেন ED আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সাতসকালে ধামাখালির একটি মাছের পাইকারি বাজারে চলে ED তল্লাশি। শুধু তাই নয়, এই বাজারটির অংশীদার নজরুল মোল্লার বাড়িতেও পৌঁছন তদন্তকারীরা। তাঁর বাড়ির সামনে বিরাট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে CRPF-এর একটি বড় বাহিনী যায়। সেখানে নদীর পাড় ঘিরে ফেলা হয়। সূত্রের খবর, সন্দেশখালির মোট তিনটি জায়গায় চলছে তল্লাশি। যদিও কোন মামলায় সূত্র ধরে এই তল্লাশি অভিযান? তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
শেখ শাহজাহানকে নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ED জানতে পারে তিনি চিংড়ির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এরপরেই শেখ শাহজাহান 'ঘনিষ্ঠ' হিসেবে পরিচিত মাছ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে প্রথম তল্লাশি চালাতে যায় ED। কিন্তু, সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল ED আধিকারিকদের। এরপর অবশ্য সন্দেশখালির চিত্রটা বদলে যায়। শাহজাহান এবং তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছিল। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি।
এই ঘটনার পর থেকেই কার্যত বেপাত্তা ছিলেন শেখ শাহজাহান। ৫৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর ৫৬ দিনের মাথায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই মামলাটি গিয়েছে CBI-এর হাতে। ইতিমধ্যেই শেখ শাহজাহানকে CBI-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়ার পর শেখ শাহজাহানের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছিল। মিডিয়ার ক্যামেরাকে লক্ষ্য করে আঙুল উজিয়ে আদালতে ঢুকেছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে ভবানীভবনে নিয়ে আসা হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলা গিয়েছিল CBI-এর হাতে।
জেরার মুখে ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করেন এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। সম্প্রতি তাঁকে বলতে শোনা যায় এর বিচার উপরওয়ালা করবে। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে একাধিকবার। যদিও বিরোধীদের যাবতীয় দাবি খারিজ করে দেয় তৃণমূল। শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্যই এই সমস্ত আক্রমণ বলে দাবি করেন তাঁরা। আপাতত সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শিবপ্রসাদ হাজরা, শিবু মণ্ডলকে। এদিকে শেখ শাহজাহানকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত CBI হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।