Amit Shah News : সিএএ-তে কেন নেই মুসলিমরা? জবাবে কংগ্রেসকে বিঁধলেন শাহ, পালটা নিশানা হাত শিবিরেরও
এই সময় | ১৪ মার্চ ২০২৪
দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ। নয়া আইনে কেন শুধুমাত্র মুসলমান সম্প্রদায়কে বাদ রাখা হয়েছে এই নিয়ে প্রশ্ব তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিজেপি বিরোধী দলগুলি। এবার এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মুখ খুললেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশভাগের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি নিশানা করলেন কংগ্রেসকে। পালটা জবাব দিল হাত শিবিরও।সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, 'দেশের একটা ইতিহাস আছে। ১৯৪৭ সালের ১৭ অগাস্ট দেশ ভাগ হয়েছিল। ৩ ভাগে ভাগ হয়ে যায় দেশ। ভারতীয় জনসংঘ ও ভারতীয় জনতা পার্টি সবসময় বিভাজনের বিরোধিতা করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশের বিভাজন হওয়াই উচিত ছিল না। কিন্তু সেই সময় করা হয়। ধর্মের ভিত্তিতে যখন বিভাজন হয়েছে এবং সেখানকার সংখ্যালঘুদের উপে অত্যাচার হয়েছে, জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করান হয়েছে, মহিলাদের অপামান করা হয়েছে। তাঁরা ভারতের শরণে আসেন, তাহলে কি তাঁদের নাগরিকত্বের অধিকার নেই?'
এরপরেই অমিত শাহের কথায় উঠে আসে কংগ্রেসের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, 'কংগ্রেসের নেতারা স্বাধীনতার সময় বহু ভাষণে বলেছেন যে, এখন মারামারি চলছে, তাই আপনারা যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন, পরে যখনই ভারতে আসবেন, আপনাদের স্বাগত। পরে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চালু হয়ে যায়। সেই প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস কখনও পূরণ করেনি, নরেন্দ্র মোদী পূরণ করেছেন।'
ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চালু হয়ে যায়। সেই প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস কখনও পূরণ করেনি, নরেন্দ্র মোদী পূরণ করেছেন।অমিত শাহ
অমিত শাহের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাব দিয়েছে কংগ্রেসও। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় বলেন, 'যে কথাগুলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আমি জানি না ওঁ ইতিহাসের নাগপুরের বই পড়েছেন কি না! তবে ভারতবর্ষের ইতিহাসকে বিকৃত করে বিজেপি যেটা করতে চাইছে...এই দেশটায় হিন্দু মুসলমান, শিখ, খৃষ্টান সবার জন্য সমান অধিকার। একটি নির্দিষ্ট ধর্মের প্রতি বৈষম্য করে কি আইন সম্ভব? করা সম্ভব? এই ত্রুটিপূর্ণ সিএএ আইনটাকে নিয়ে এরা ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা করছে।'
এই বিষয় সৌম্য আইচ রায়ের প্রশ্ন, 'ভারতবর্ষের বাইরের ৩টি দেশের কথা বলা হয়েছ। কেন শ্রীলঙ্কার তামিল হিন্দুদের কথা বলা নেই? কেন মায়ানমারের বৌদ্ধদের কথা বলা নেই, কেন নেপালে থেকে আসা হিন্দুদের কথা বলা নেই? এই ত্রুটিপূর্ণ বিষয়গুলিকেই আমরা তুলে ধরতে চেয়েছি, সুপ্রিম কোর্টের একটি অবজারভেশনও আছে। এটাকে রাজনৈতিক পণ্য করার চেষ্টা করার চেষ্টা হচ্ছে।'